বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে পরস্পর পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলি করা একান্তই জরুরি
বিয়ে হল জীবনের সবচেয়ে বড়ো সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি
হাইলাইটস:
•বিয়ের সিদ্ধান্তে দুজনেরই প্রস্তুত?
•ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা
•অতীতের সম্পর্ক বিষয়ে ওয়াকিবহাল
বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের প্রত্যেকের কাছেই অনেক বড়ো ব্যাপার। তাই খুব সহজেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ এর সাথে জড়িয়ে থাকে আমাদের সারাটা জীবন। যদি হটকারীতার বশে এসে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন তাহলে তার মাসুল দিতে দিতেই জীবনভর কেটে যাবে। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয় কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই। তাই উচিত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই হবু বর ও কনে নিজেদের মধ্যে কিছু বিষয়ে আলোচনা করে নিতে পারেন। প্রথম থেকেই যদি একে ওপরের বিষয়ে সবকিছু জানা থাকে তবে সমস্যা দেখা দেবে না পরিবর্তী জীবনে। বিশেষ করে যদি অতীতে কোনও সম্পর্ক থেকে থাকে তবে সেটিও জানাতে পারেন। কারণ এই অতীতই অনেকসময় নতুন জীবনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আবার কিছু বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানাতে হবে। ঠিক একই ভাবে অপরজনের কাছ থেকেও জানতে হবে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া পূর্বে কিছু প্রশ্ন পরস্পর পরস্পরকে করে নিন –
বিয়ের জন্য প্রস্তুত কী না?
বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মানসিক ও আর্থিক দিক থেকে প্রস্তুত থাকা জরুরি। তাই বিয়ের আগেই এ বিষয়ে পরস্পরকে প্রশ্ন করবেন। যদি অপরজনের মনে কোনো ধরনের দ্বিধা থাকে তবে সেকথাও জেনে নিন। কারণ অনেকেই আছেন যারা পরিবারের চাপে পড়ে বিয়ে করতে রাজী হন। আপনার সঙ্গী যদি এখনই বিয়ের জন্য প্রস্তুত না থাকেন তবে তাকে কিছুটা সময় দিন। একই বক্তব্য আপনার ক্ষেত্রেও। মনের মধ্যে সংশয় নিয়ে বিয়ে করবেন না। আগে ভালোভাবে ভেবে তারপর সিদ্ধান্ত নিন। কারণ হটকারীতার বশে এসে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেকসময় ভুল প্রমাণিত হয়। এর ফলে সাংসারিক জীবনে সমস্যা দেখা দেয়।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজান:
আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবটা সবটা নাকি হলেও পরিকল্পনাহীন জীবন হল পাতা ছেঁড়া খাতার মতো। তাই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থাকা ভীষণ জরুরি। আপনিও আপনার সঙ্গীকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী আছে সেই নিয়ে প্রশ্ন করুন। আপনার পরিকল্পনাও তাকে জানান। যদি আপনাদের দুজনের পরিকল্পনার কিছুটা মিল থাকে তবে একই পথে এগোনো সহজ হবে। আর যদি আপনারা দুজন চুম্বকের দুই মেরুর মতো হন তবে সম্পর্কটি নিয়ে আরেকবার ভেবে দেখতে পারেন। কারণ আপনার সাথে তার মতের অমিল থাকলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে।
ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা:
বর্তমানে ছেলে মেয়ে উভয়েরই ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে। অনেকে আবার ক্যারিয়ারে সফলতাও অর্জন করেছেন। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্যারিয়ারের শীর্ষ স্থানে পৌঁছনোর ফলে সাংসারিক জীবনে সমস্যা হয়। তাই বিয়ের আগেই জেনে নিন আপনার সঙ্গীর ক্যারিয়ার তার পরিকল্পনা জেনে নিন। আপনার পরিকল্পনাও তাকে জানান। বিয়ের পরে ক্যারিয়ার নিয়ে যেন কোনও প্রতিবন্ধকতা মধ্যে পড়তে না হয় আপনাকে। আর নতুন ক্যারিয়ার তৈরি যদি করতে চান তবে তাকে পাশে চান সেটিও স্পষ্ট ভাষায় তাকে জানিয়ে দিন।
অতীতের মুখোমুখি:
বিবাহিত জীবনের একটি অন্যতম সমস্যা হল তাদের অতীতের সম্পর্ক। হয়তো অতীতের সব সম্পর্ক খারাপ হয়না। ঠিক তেমনই সব সম্পর্ক ভালোও হয়না। অনেক তিক্ততা থাকে তাতে। ফলে অনেকেই আছেন যারা অতীতের সম্পর্কটি পুরোটাই গোপন করে নেন স্বামী বা স্ত্রীর কাছ থেকে। আর এর থেকেই শুরু হয় বিবাহিত জীবনের নানারকম সমস্যা। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই পরস্পর পরস্পরের অতীতের সম্বন্ধে জেনে নিন। কিছু গোপন রাখবেন না।
সাংসারিক যাবতীয় কাজ ভাগাভাগি:
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চাকুরিজীবী। ফলে কারও একার পক্ষে বাড়ির সব কাজ করা সম্ভব হয় না। আবার কোনো পুরুষ যদি কেবল তার ইগো ধরে রাখার জন্য বাড়ির সব কাজ শুধু মাত্র মহিলারাই করবেন তবে সমস্যা হতে পারে বৈবাহিক জীবনে। মিলেমিশে দুজনকেই সাংসারিক যাবতীয় কাজ ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আর এই বিষয়ে বিয়ের আগেই সব কথা বলে নিন।
এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।