Bangla News

Mahalaya 2023: মহালয়ার কালজয়ী গানগুলির নেপথ্যে থাকা শিল্পীদের চেনেন?

Mahalaya 2023: মহালয়ার ভোরে আজও ঘুম ভাঙে এই কালজয়ী গানগুলি শুনেই

হাইলাইটস:

  • আগামীকাল মহালয়া অর্থাৎ দেবীপক্ষের সূচনা
  • মহালয়ার কালজয়ী গানগুলির আজও বাঙালি হৃদয়ে অমর হয়ে আছে
  • তবে এই কালজয়ী গানগুলির নেপথ্যে থাকা শিল্পীদের সাথে পরিচয় করা যাক

Mahalaya 2023: মহালয়া হল বাঙালির আবেগ। আধুনিক সমাজ যতই উন্নত হোক না কেন এই দিনটায় প্রতি বাঙালি আবারও নস্টালজিয়া ফিরে পায়। সারা বছর টিভি, মোবাইলে গান শুনলেও বছরের এই একটা দিনে রেডিওর খোঁজ কিন্তু পড়ে সকলের। কারণ মহালয়ার ভোরে অর্থাৎ কাঁটায় কাঁটায় ভোর চারটেয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী শুনতে মুখিয়ে থাকে সকলে।

https://www.instagram.com/p/CyNIu_3rqJ3/?igshid=MzRlODBiNWFlZA==

মহালয়া থেকে শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষ। আর বাঙালিও প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেয় উমাকে বরণ করে নেওয়ার। দুর্গাপুজো শুধুমাত্র বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব নয়, বাঙালির আত্মার সাথে জড়িত। তাই তো মহালয়ার গুরুত্ব বাঙালিরা তাঁর জীবনের শেষদিন অবধি মনে রাখে। বাড়িতে ঠাকুমা-দিদিমাদের আজও রেডিও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠ শুনে চোখে জল চলে আসে। উমা যে বড়ই তাঁদের আপন।

বর্তমানে টেলিভিশনের পর্দায় মহিষাসুরমর্দিনী হলেও রেডিও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী শোনার যে আনন্দ তা আর কিছুতে নেই। ১৯৩২ সাল থেকে টানা এতগুলি বছর যে অনুষ্ঠান স্থান পেয়েছে বাঙালির হৃদয়ে সেই অনুষ্ঠানের নেপথ্য থাকা শিল্পীদের মধ্যে বর্তমানে প্রায় সকলেই প্রয়াত হয়েছেন। তবুও অমর হয়ে রয়ে গিয়েছে তাঁদের কালজয়ী গানগুলি।

জেনে নিন সেই শিল্পীদের যাঁরা কালজয়ীগুলি সারাজীবন বাঙালির হৃদয়ে থেকে যাবে –

আকাশবাণী কলকাতার মহিষাসুরমর্দিনী নামটির সঙ্গে যে নামটি একেবারে একাত্ম হয়ে গিয়েছে তিনি হলেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। মহালয়ার ভোরে স্নান করে একেবারে শুদ্ধ বস্ত্রে আকাশবাণী স্টুডিওতে উপস্থিত হওয়া যেন একটি মিথে পরিণত হয়ে গিয়েছে।

মহিষাসুরমর্দিনীর এই গোটা অনুষ্ঠানটি রচনার দায়িত্বে ছিলেন বাণীকুমার। প্রায় দেড় ঘন্টার এই অনুষ্ঠানটির ভাষ্য থেকে গান রচনার গুরুদায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই। তিনি একাই সামলেছিলেন সবটা। এমনকি গোটা অনুষ্ঠানে চণ্ডীপাঠও করেন তিনি।

মহিষাসুরমর্দিনীর এই গোটা অনুষ্ঠানটিতে প্রায় ২০টির কাছাকাছি গান ছিল। এই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব ছিল পঙ্কজ মল্লিক। প্রতি বছরই তিনি প্রায় ৫০ জনের বিশাল দলকে দিয়ে একেবারে নিখুঁতভাবে গানগুলি গাইয়ে নিতেন। এমনকি স্বয়ং রবিঠাকুরও পঙ্কজ মল্লিকের গায়কীতে মুগ্ধ ছিলেন।

মহালয়ার অনুষ্ঠানে ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’ গানটির মাহাত্ম্যই আলাদা। সম্ভবত এই গানটি সবচেয়ে জনপ্রিয়ও। তবে পরবর্তীকালে অনেক শিল্পী এই গানটি গাইলেও সুপ্রীতি ঘোষের সেই গায়কী আজও শ্রোতারা ভুলতে পারেননি।

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরণধারিণী, অভয়াশক্তি বলপ্রদায়িনী তুমি জাগো গানটি শুনলে আজও বাঙালির মনে জেগে ওঠে শুধুমাত্র মহালয়ার ভোর।

মহিষাসুরমর্দিনীতে ‘ওগো আমার আগমনী আলো’ গানটি গেয়েছিলেন শিপ্রা বসু। কিন্তু পরবর্তীকালে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তিনি বেশি বিখ্যাত হয়েছিলেন।

মহিষাসুরমর্দিনীর প্রতিটি গানই বাঙালির হৃদয়য়ে অমর হয়ে রয়ে গিয়েছে। তবে তার মধ্যে মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে তব অচিন্ত্য রূপ চরিত মহিমা গানটি যেনএক আলাদা মাত্রা যোগ করেছিল এই অনুষ্ঠানে।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button