lifestyle

ত্বকের জেল্লাভাব ফিরিয়ে আনতে বাড়িতেই বানান গোলাপের পাপড়ি দিয়ে ফেসপ্যাক

মাত্র ৫ মিনিটে উপচে পড়বে মুখের জেল্লাভাব

অনেকেই ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করেন গোলাপের পাপড়ি। আবার অনেক দীর্ঘ সময় ধরে ঘরোয়া রূপটানে গোলাপ জল ব্যবহার করে আসছেন। এতে একাধিক উপাদান থাকে যা ত্বক উজ্জ্বল করে। গোলাপ জল ত্বকের যত্নে এতটাই উপকারী যে, বিউটি ওয়ার্লডেও এর জনপ্রিয়তা কম নয়। এবার ত্বকে গোলাপ জল সরাসরি না লাগিয়ে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে প্যাক বানান। নানা ধরনের প্রসাধনীতে গোলাপের তেলও ব্যবহার করা হয়। গোলাপে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। অর্থাৎ এই ফুল আপনার ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C। আর এই ভিটামিন আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গোলাপে আছে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম। গোলাপের অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল গুণ ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান করে। গোলাপের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট গুণে ত্বক ভালো থাকে। ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে। ত্বকের যে কোনও সমস্যা দূর করতে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে বানান ঘরোয়া ফেসপ্যাক।

জেনে নিন কীভাবে প্রস্তুত করবেন ফেসপ্যাকগুলি-

অ্যালোভেরা জেল এবং গোলাপের পাপড়ি:

অ্যালোভেরা জেল এবং গোলাপ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে। শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেট করতে এই ফেসপ্যাক অবশ্যই ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, ত্বককে টানটান করতেও সাহায্য করে। অ্যালোভেরার গুণে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। গোলাপের গুণে ত্বকের জেল্লা হয় দেখার মতোই। এই ফেসপ্যাক বানানোর জন্যে আপনার প্রয়োজন গোলাপের পাপড়ি, অ্যালোভেরা জেল এবং সামান্য গোলাপ জল। প্রথমে একটি পাত্রে ২টি গোলাপের পাপড়ি ছাড়িয়ে নিন। তার মধ্যে অ্যালোভেরা জেল এবং সামান্য পরিমাণে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। সেটি আপনার মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকটি আপনি সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসপ্যাকটি ব্রণ-পিম্পল সারাতেও কার্যকর।

নারকেলের দুধ, অলিভ অয়েল এবং গোলাপের পাপড়ির ফেসপ্যাক:

নারকেলের দুধ ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নারকেল দুধ এবং অলিভ অয়েল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বক আর্দ্র রাখে। ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফেসপ্যাক ত্বক সুস্থ রাখে ও উজ্জ্বল রাখে। প্রথমে গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে এতে ৪ টেবিল চামচ নারকেল দুধ এবং ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।ত্বকে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারের মতো কাজ করে এই ফেসপ্যাক। আপনি চোখ বন্ধ করে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকেও জেল্লা বাড়ায়। তবু এই প্যাকটি যে কোনও ত্বকেই ব্যবহার করা যেতে পারে। সপ্তাহে ১-২ দিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

চন্দনের গুঁড়ো, দুধ এবং গোলাপের পাপড়ির ফেসপ্যাক:

চন্দনের গুঁড়ো ত্বককে ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এই ফেসপ্যাকটি বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন শুধুমাত্র গোলাপের পাপড়ি, চন্দনের গুঁড়ো এবং কাঁচা দুধ। প্রথমে ২ টি গোলাপ নিন। তাদের পাপড়িগুলি ছাড়িয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্টের মধ্যে ১-২ চামচ চন্দনের গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর ভালো করে মুখে লাগিয়ে নিন এবং কিছুক্ষন পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এই ফেসপ্যাক আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

কমলালেবুর খোসা এবং গোলাপের পাপড়ির ফেসপ্যাক:

প্রথমে কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন গোলাপ ফুলের পাপড়ির পেস্ট আর সামান্য মধু। তারপর পুরো মুখে প্যাকটি লাগান। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি মুখের দাগছোপ তুলতে বেশ সহায়ক। রোদ এবং দূষণের ফলে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা থেকে ত্বককে রক্ষা করে এই প্যাকটি।

চালের গুঁড়ো এবং গোলাপের পাপড়ির ফেসপ্যাক:

গোলাপের পাপড়ি ও চালের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক বানান সহজেই। প্রথমে পাপড়িগুলি পেস্ট করে নিন। তারপর তার সঙ্গে মেশান মিহি করা চলের গুঁড়ো। ভালো করে মিশিয়ে পেস্টটি বানান। এই সময় সামান্য জল দিন। চাইলে গোলাপের পাপড়ি ও চালের গুঁড়ো এক সঙ্গে নিয়েও পেস্ট বানাতে পারেন। এবার মিশ্রণটি ভালো করে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ১-২ দিন লাগিয়ে দেখুন ফলাফল পাবেন হাতের নাগালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button