lifestyle

হ্যাপি চকোলেট ডে ২০২৩: চকোলেট ডে-র ইতিহাস, তাৎপর্য, গুরুত্ব জেনে নিন

চকোলেট ডে হল ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের তৃতীয় দিন

ভ্যালেন্টাইনস ডে হল ভালবাসা, বন্ধন এবং সম্পর্কের বার্ষিক উদযাপন। প্রেমিক-প্রেমিকারা ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের তৃতীয় দিন চকোলেট ডে হিসাবে পালন করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসকে ভালোবাসার মাস হিসাবে উল্লেখ করা হয় কারণ এই মাসে ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহ চলে এই মাসে। বছরের পর বছর ধরে চকোলেট এবং ভ্যালেন্টাইনস ডে সমার্থক হয়ে উঠেছে। ভ্যালেন্টাইনস ডে ১৪ই ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয়, তবে উদযাপন শুরু হয় এক সপ্তাহ আগে রোজ ডে থেকে। ভালোবাসা দিবসের আগে যে সাতটি দিবস আসে তার মধ্যে রয়েছে রোজ ডে, প্রপোজ ডে, চকোলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিস ডে, হাগ ডে এবং কিস ডে। ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের প্রতিটি দিনের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং প্রেমীরা তাদের অংশীদারদের উপহার দেন।

চকোলেট ডে-র গুরুত্ব:

এটি ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের তৃতীয় দিন। বহু বছর ধরে, ভ্যালেন্টাইনস ডে এবং চকোলেট একে অপরের সাথে জড়িত। বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯ই ফেব্রুয়ারি চকোলেট ডে উদযাপন করা হয়। ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হল এটি। শুধু উপহার হিসেবে নয়, চকোলেটের গুণে সম্পর্ক হয়ে ওঠে মধুর। আবার চকোলেট আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। বিশেষত মহিলাদের। দুধ, চিনি ও মাখন থাকার জন্য চকোলেট খুব ভালো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-এর উদাহরণ। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এমনকী, আপেলের তুলনায় পাঁচ গুণ ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে চকোলেটে। আর চেহারা সুন্দর রাখতে দারুণ উপকারী হল ডার্ক চকোলেট। ডার্ক চকোলেট খেলে মিষ্টি, নোনতা, ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। তাই স্বাস্থ্য সুন্দর রাখতে ডার্ক চকোলেটেই জমে উঠুক ভালবাসা।

ইতিহাস ও তাৎপর্য:

এটি একটি খ্রিস্টান অনুষ্ঠান। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে সম্মানিত করা হয় এই দিনে। অনেক দেশে এটি সংস্কৃতির দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে স্বীকৃত কিন্তু কোনো দেশেই সরকারি ছুটির দিন হিসেবে বিবেচিত হয় না। ভিক্টোরিয়ান সময় থেকে পুরুষ এবং মহিলারা একে অপরকে যে উপহার দিয়েছিলেন তার খুব বড়ো অংশ ছিল চকোলেট। ওয়াশিংটন ডিসি-তে স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, ১৯ শতকে একটি ব্রিটিশ পরিবার তাদের কোকো মাখন ব্যবহার করার উপায় খুঁজছিল।

ভিক্টোরিয়ান যুগে রিচার্ড ক্যাডবেরি নামে এক চকোলেট-বিক্রেতা হার্ট-শেপড বাক্সে চকোলেট ভরে বিক্রি করতেন ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহে। সেখান থেকে মনের মানুষকে চকোলেট উপহার দেওয়ার রীতি দেখতে দেখতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে শুধুই হার্ট-শেপড বক্সে নয়, ক্যাডবেরির কোম্পানি এখন নানা রকম চকোলেট তৈরি করে থাকে, যা চকোলেট ডে-র পাশাপাশি সারা বছর ধরেই বিক্রি হয়। ১৯৫০ সাল থেকে জাপানেও ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে চকোলেট উপহার দেওয়ার প্রথা শুরু হয় মোরোজফ নামের এক চকোলেট প্রস্তুতকারী সংস্থার হাত ধরে। তবে ওই দেশে কেবল প্রেমিকারাই চকোলেট উপহার দেন পুরুষদের। এভাবেই শুরু হল চকোলেট ডে-র পথচলা। যা উনিশ শতক পার করে একুশ শতকেও সমান জনপ্রিয়। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, চকোলেট এবং মানুষের সুখের ইতিহাস ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। হাজার হাজার বছর ধরে কেকো মটরশুটি তাদের অসাধারণ উপকারিতার জন্য লালন করা হয়েছে। এর দীর্ঘ এবং আকর্ষণীয় ইতিহাস জুড়ে চকোলেট, যা প্রথম তিক্ত পানীয় হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে চকোলেট পরিচিত সুস্বাদু মিষ্টান্নে রূপান্তরিত হয়েছে।

হ্যাপি চকোলেট ডে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button