Mamata Banerjee: বিধানসভায় পাস হয়ে গেল ১লা বৈশাখকে বাংলা দিবস পালন করার প্রস্তাবটি! মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপাল সই না করলেও কিছু যায় আসে না’
Mamata Banerjee: গতকাল বাংলা দিবসের সাথে সাথে রাজ্য সংগীতের প্রস্তাবটিও পাস হয়ে যায়
হাইলাইটস:
- রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেল বাংলা দিবস হিসাবে ১লা বৈশাখকে পালন করার প্রস্তাবটি
- বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জোর সওয়াল করেন এই দিনটি পালনের জন্য
- ‘রাজ্যপাল সই না করলেও কিছু যায় আসে না’, বলেন মুখ্যমন্ত্রী
Mamata Banerjee: বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গতকাল বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্য সরকারের তরফে দুটি প্রস্তাব রাখা হয়। একটি হল ‘বাংলা দিবস’ এবং অন্যটি রাজ্য সংগীত। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ১লা বৈশাখকে ‘বাংলা দিবস’ পালনের পক্ষে জোর সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তাঁর নিশানায় ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন দীর্ঘ একঘণ্টা ধরে বিধানসভায় শাসক-বিরোধী যুক্তি-পাল্টা যুক্তির পালা চলতে থাকে। শেষে ভোটাভুটির অংকে পাস হয়ে যায় ১লা বৈশাখকে ‘বাংলা দিবস’ বা ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে ঘোষণার সরকারি প্রস্তাবটি। এই প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৭টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬২টি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, “১৯৪৭ সালের ২০শে জুন পশ্চিমবঙ্গ তখন প্রতিষ্ঠিতই হয়নি। কারণ সেই সময় অবিভক্ত বাংলা ছিল। ১লা বৈশাখ বাংলা ক্যালেন্ডারে বছরের প্রথম দিন এবং সেদিনই হালখাতা হয়, নতুন ব্যবসার শুভ প্রতিষ্ঠা বা যে কোনও শুভ কাজের উদ্বোধন করে মানুষ।” তিনি আরও বলেন, নবান্নের বৈঠকেও ১লা বৈশাখেই সায় মেলে। বেশিরভাগ প্রতিনিধি এই প্রস্তাবে সায় দেন। তাই ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পয়লা বৈশাখ এবং বাংলার সঙ্গীত হিসাবে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে পালন করার প্রস্তাবটিকে সমর্থন করছি।”
এর সাথে তিনি এও বলেন, “রাজ্যপাল সই না করলে কোনও যায় আসে না। সবকিছু এইভাবে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। মানুষ মন থেকে যা চায়, তাকেই গুরুত্ব দিতে হয়। দেখব জনগণ নাকী মনোনীত ব্যক্তির শক্তি বেশি। আমরা ১লা বৈশাখ দিনটিকেই পালন করব।” তিনি আরও বলেন, “তবে এটা রাজ্যপালের কাছ অবধি যাবেই না। কারণ এটা রেজোলিউশন। এটা কোনও বিল নয়। ওরা তো কোনও আইন জানেই না।’
এর সাথে তিনি বলেন, “আমরা যদি এই পদক্ষেপ না গ্রহণ করি তাহলে একটা ভুল দিনকে চাপিয়ে দেওয়া হবে। কোনও এক বিশেষ দিনে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হিসাবে পথ চলা শুরু করেনি। ঐতিহাসিক অনিবার্যতার কারণেই দেশ ভাগ হয়। আমরা তো এতদিন কোনও একটা বিশেষ দিনকে এইভাবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করিনি, কারণ এমন কোনও দিন এতদিন ছিল না। কিন্তু যদি পশ্চিমবঙ্গ দিন পালন করতেই হয় তাহলে দেশভাগ এবং দাঙ্গার স্মৃতি বিজড়িত দিনটিকে কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না।”
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।