দুধ ও ডিম দুটিই পুষ্টিকর খাদ্য! এই দুটি খাদ্য একসঙ্গে খেলে কী শরীরের কোনও ক্ষতি হয়?
আমরা সকলেই দুধ এবং ডিম দুটিই খাই
দুধ ও ডিম এই দুটিই আমাদের জীবনের খুব সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর খাদ্য। এই দুই খাদ্যে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ। কিন্তু এত পুষ্টিগুন থাকা সত্ত্বেও দুধ ও ডিম নিয়ে আমাদের মধ্যে কিছু ভিন্ন ধারণা রয়েছে। সেই ধারণা বহু যুগ ধরেই চলে আসছে। আমরাও প্রথম থেকে সে ধারণাগুলি বিশ্বাসও করে এসেছি এবং মেনেও এসেছি। কিন্তু কোনোদিনই এর সত্যতা সম্পর্কে যাচাই করার সাহস দেখাইনি।
এবার সময় এসেছে বহুযুগ ধরে চলে আসা কিছু ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়ার। আসলে ডিম ও দুধ সম্পর্কে মানুষের কিছু ভিন্ন ধারণা রয়েছে। যার মধ্যে কিছু ঠিক তো বেশিভাগই ভুল ধারণা। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য দুধ ও ডিম সম্পর্কিত এই প্রতিবেদনটি নিয়ে এসেছি। নিচে দেওয়া তথ্যগুলি জেনে নিয়ে বিচার করুন-
দুধের পুষ্টিগত গুণ:
পুষ্টিগুণের বিচারে দুধ একটি অনন্য খাদ্য। দুধে থাকে ভিটামিন D, B2, B12, ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস। এছাড়াও থাকে হোয়ে প্রোটিন ও কেভিন প্রোটিন। এছাড়া কিছুটা ফ্যাট থাকে। সেই ফ্যাট থেকে দূরে থাকতে গেলে আপনাকে খেতে হবে ডাবল টোনড বা স্কিমড মিল্ক। দুধ পুষ্টিগুনে ভরপুর, তাই সকলের খাদ্যতালিকায় দুধ রাখা উচিত।
ডিমের পুষ্টিগত গুণ:
ডিমে থাকে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং মুফা ফ্যাট। এই ফ্যাটটি শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। ডিমে থাকে ভিটামিন A, D, E, K, আয়রন, ফসফরাস যেগুলি অত্যন্ত জরুরি শরীরের জন্য। তাই আট থেকে আশি ডিম সকলের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
একসঙ্গে কী খাওয়া যায় দুধ ও ডিম?
দুধ ও ডিম একসঙ্গে খেলে কোনও জটিলতা সৃষ্টি হয় না। কিন্তু কাঁচা ডিম ও দুধ একসঙ্গে খেলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া পৌঁছে যেতে পারে। এটি অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস। এইরকম খারাপ অভ্যাস থাকলে অন্ত্রে নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং গ্যাস পর্যন্ত হতে পারে। আবার বমি হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও ডায়ারিয়া মতো রোগও হতে পারে।
কীভাবে খাবেন দুধ এবং ডিম ?
দুধ কাঁচা অবস্থায় অর্থাৎ ফুটিয়ে না খেলে নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে শরীরে এমন কিছু উপাদান পৌঁছে যায় যা পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করে। অপরদিকে ডিম কাঁচা অবস্থা খাওয়া একদমই উচিত না। কারণ কাঁচা অবস্থায় খেলে নানা জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। তাই সবসময় দুধ ভালো করে ফুটিয়ে এবং ডিম সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত।
কখন খাওয়া উচিত দুধ এবং ডিম?
দুধ এবং ডিম সকালে খেলে সবথেকে ভালো কাজ হয়। আসলে এই দুই খাদ্যকে মেটাবলিজম করার ক্ষমতা সবথেকে ভালো থাকে সকালবেলায়। তবে রাতের দিকে এই ধরনের খাবার না খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কারণ রাত্রিবেলা শরীর একটু বিশ্রাম চায়। তখন শরীর থেকে কিছু এনজাইম কম পরিমাণে বের হয়। তাই এই ধরনের খাবার হজম নাও হতে পারে। আপনার সবসময় উচিত রাত্রিবেলা এই ধরণের খাবার এড়িয়ে চলা।