lifestyle

China Panda Ownership: পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় পান্ডা জন্মাতে পারে, কিন্তু কেন চীনের কাছেই সবসময় মালিকানার অধিকার থাকে জানেন?

পৃথিবীর যেখানেই পান্ডা জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সেটার মালিক কিন্তু চীন (China Panda Ownership)। হ্যাঁ, এটা একেবারেই সত্যি। বিশ্বের প্রায় সব পান্ডার মালিক চীন। এর কারণ হলো 'চায়না পান্ডা নীতি' (China Panda Policy) নামক একটি বিশেষ নীতি। আসুন এটি সম্পর্কে আরও জেনে নিই।

China Panda Ownership: চীনে জন্ম না হলেও বিশ্বের প্রায় সব পান্ডার মালিক চীন, কিন্তু কেন? উত্তর জানতে প্রতিবেদনটি পড়ুন

হাইলাইটস:

  • বিশ্বের প্রায় সব পান্ডার মালিক চীন
  • এই নীতিকে পান্ডা নীতি বলা হয়
  • এই নীতির অধীনে, চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পান্ডা লিজ দেয়

China Panda Ownership: পান্ডা ভীষণ সুন্দর একটা প্রাণী, কিন্তু এটি বিশ্বের একটি বিরল প্রজাতিও বটে। তাই, চিড়িয়াখানায় তাদের বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। কিন্তু আপনি কি একটি মজার তথ্য জানেন, পৃথিবীর যেখানেই পান্ডা জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সেটার মালিক কিন্তু চীন (China Panda Ownership)। হ্যাঁ, এটা একেবারেই সত্যি। বিশ্বের প্রায় সব পান্ডার মালিক চীন। এর কারণ হলো ‘চায়না পান্ডা নীতি’ (China Panda Policy) নামক একটি বিশেষ নীতি। আসুন এটি সম্পর্কে আরও জেনে নিই।

We’re now on WhatsApp – Click to join

উপহার থেকে ব্যবসায়ে যাত্রা

এই নীতির গল্প শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকে, যখন চীন প্রথম অন্যান্য দেশকে “কূটনৈতিক উপহার” হিসেবে পান্ডা দিতে শুরু করে। এটি ছিল বন্ধুত্ব এবং শুভকামনার প্রতীক। তবে, ১৯৮০-এর দশকের মধ্যে, পান্ডা একটি বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয় এবং আন্তর্জাতিক চুক্তির কারণে তাদের বাণিজ্য সীমিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে, চীন তার কৌশল পরিবর্তন করে এবং “উপহার”-এর পরিবর্তে “ঋণ” বা “লিজ” ব্যবহার শুরু করে। এর অর্থ হল চীন সীমিত সময়ের জন্য একটি দেশকে পান্ডা ধার দেয়।

চীনের পান্ডা নীতি কীভাবে কাজ করে?

• চীনের মালিকানা – চীনের স্পষ্ট দাবি হল যে বিশ্বের প্রতিটি দৈত্যাকার পান্ডা, তাদের উৎপত্তিস্থল যেখানেই হোক না কেন, সেটি চীনা সম্পত্তি। এই দাবি তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলের উপর ভিত্তি করে।

• সংরক্ষণের উপর জোর – চীন বলেছে যে এই নীতির লক্ষ্য পান্ডাদের সুরক্ষা এবং তাদের ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি করা। বিদেশে পান্ডা পাঠানোর প্রাথমিক উদ্দেশ্য “গবেষণা” হিসাবে বলা হয়েছে, যাতে তাদের প্রজনন, আচরণ এবং যত্নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জন করা যায়।

• আর্থিক প্রতিশ্রুতি – যেকোনো দেশ চীন থেকে পান্ডা “লিজ” নিতে পারে, কিন্তু খরচ অনেক বেশি। দেশগুলিকে প্রতি বছর প্রায় ১ মিলিয়ন থেকে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হয়। এই অর্থ সরাসরি চীনের পান্ডা সংরক্ষণ কর্মসূচিতে যায়।

পান্ডা নীতি – চীনের নরম শক্তি

পান্ডা নীতি কেবল অর্থ এবং সংরক্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি চীনের নরম শক্তি এবং কূটনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যখন চীন কোনও দেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়, তখন পান্ডা “থটফুল গিফট” হিসেবে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭২ সালে মার্কিন-চীন সম্পর্কের অবনতির সময়, চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পান্ডা উপহার দেয়। একইভাবে, বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করতে বা কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করতে পান্ডাদের ধার দেওয়া হয়।

Read more:- কুনো ন্যাশনাল পার্কে এদিন পাঁচ শাবকের জন্ম দিল ভারতে জন্মগ্রহণকারী প্রথম চিতা ‘মুখি’

অধিকন্তু, যে সব চিড়িয়াখানায় পান্ডা থাকে, সেখানে পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, যা দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করে। এটি পরোক্ষভাবে চীনের সাথে দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।

এই ধরণের আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button