Dhakeshwari National Temple: শুধু ভারতে নয়, বাংলাদেশের রয়েছে অন্যতম একটি শক্তিপীঠ, জানেন সেই মন্দিরটির কি নাম?
এটি কেবল একটি শক্তিপীঠ নয়, বরং ইতিহাস, বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির একটি দুর্দান্ত সঙ্গমস্থল। আসলে, আমরা ঢাকেশ্বরী মন্দিরের কথা বলছি, যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ হিন্দুর বিশ্বাসের একটি প্রধান কেন্দ্র। আসুন, এর সাথে সম্পর্কিত কিছু আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
Dhakeshwari National Temple: ঢাকেশ্বরী মন্দির বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি অত্যন্ত বিখ্যাত এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্দির
হাইলাইটস:
- বাংলাদেশে অবস্থিত ঢাকেশ্বরী মন্দির হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান কেন্দ্র
- বিশ্বাস অনুসারে, সতীর মুকুটের রত্নটি এই স্থানে পড়েছিল
- এই মন্দিরটি দ্বাদশ শতাব্দীর দিকে রাজা বল্লাল সেন নির্মাণ করেছিলেন
Dhakeshwari National Temple: গত সপ্তাহেই দেশজুড়ে শারদীয়া নবরাত্রি উৎসব মহা জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়েছে। তাই দেবীর মন্দিরগুলিতে ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আপনি কি জানেন যে কেবল ভারতেই নয়, বাংলাদেশেও এমন একটি মন্দির রয়েছে যার গল্প সরাসরি দেবী সতীর সাথে যুক্ত?
We’re now on WhatsApp – Click to join
এটি কেবল একটি শক্তিপীঠ নয়, বরং ইতিহাস, বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির একটি দুর্দান্ত সঙ্গমস্থল। আসলে, আমরা ঢাকেশ্বরী মন্দিরের কথা বলছি, যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ হিন্দুর বিশ্বাসের একটি প্রধান কেন্দ্র। আসুন, এর সাথে সম্পর্কিত কিছু আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
View this post on Instagram
পৌরাণিক বিশ্বাস এবং তাৎপর্য
যখন ভগবান শিব সতী মাতার দেহ খণ্ডবিখণ্ড করেন, তখন তাঁর মুকুট থেকে রত্নটি এই স্থানেই পড়ে যায়। এই কারণেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে শক্তিপীঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে অধিষ্ঠিত দেবীকে শক্তির প্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ভক্তরা তাঁকে মা ঢাকেশ্বরী বলে ডাকেন।
We’re now on Telegram – Click to join
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাস
ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন যে এই মন্দিরটি দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা বল্লাল সেন দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে, মন্দিরটি অনেক উত্থান-পতনের মুখোমুখি হয়েছে। কখনও আক্রমণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কখনও কখনও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং আরও জাঁকজমকপূর্ণ করা হয়েছে। আজও, এর দেয়াল এবং উঠোন সেই অতীত যুগের গল্প বলে।
স্থাপত্যের এক ঝলক
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের স্থাপত্য স্পষ্টভাবে মধ্যযুগীয় বাংলার চেতনাকে প্রতিফলিত করে। প্রধান গর্ভগৃহে দেবীর মূর্তি রয়েছে, অন্যদিকে ছোট ছোট মন্দিরগুলি এর চারপাশে রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, উত্তর অংশে ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত চারটি অভিন্ন মন্দির রয়েছে, প্রতিটিতে শিবলিঙ্গ রয়েছে। মন্দিরের স্থাপত্য শৈলী কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবেও অনন্য।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি আক্রমণে মন্দিরটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তা সত্ত্বেও, বিশ্বাস অটুট ছিল। পরে মন্দিরটি সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। দেশভাগের সময় নিরাপত্তার কারণে প্রাচীন মূর্তিটি পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং এখন এর একটি প্রতিরূপ এখানে দাঁড়িয়ে আছে। এই মূর্তিতে দেবীকে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে চিত্রিত করা হয়েছে, যার পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ এবং কার্তিকের মূর্তি রয়েছে।
সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক
১৯৯৬ সালে, মন্দিরটিকে “ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির” হিসেবে মনোনীত করা হয়। এই মন্দিরটি কেবল শক্তিপীঠই নয় বরং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। নবরাত্রি এবং অন্যান্য উৎসবের সময়, এখানে বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হন।
এই রকম হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।