Jagadhatri Puja 2025: দুর্গাপুজোর পর এবার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজোও ‘হেরিটেজ’? গবেষণায় এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারি স্পার্ক (SPARC) প্রকল্পের আওতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটেনের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু হয়েছে এই গবেষণাযৌথ উদ্যোগে।
Jagadhatri Puja 2025: ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের অংশ হিসেবে গবেষণার কাজ শুরু করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
হাইলাইটস:
- জগদ্ধাত্রী পুজোকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত করাই লক্ষ্য গবেষকদের
- এবার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজো নিয়ে গবেষণায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
- জগদ্ধাত্রীপুজোকে এক জীবন্ত অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত করাই লক্ষ্য
Jagadhatri Puja 2025: ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়েও গবেষণা শুরু হয়েছে। রাজ্যের এই ফরাসি ঐতিহ্যের শহরে বহু বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং নাগরিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রতীক। শোলা কারিগর, আলোকসজ্জার শিল্পী, মূর্তি নির্মাতা থেকে প্যান্ডেল ডিজাইনার — সবাই মিলে ধরে রেখেছেন যেন এক অনন্য ঐতিহ্য। এবার সেই ঐতিহ্যকেই হেরিটেজের দৃষ্টিকোণ থেকে নতুনভাবে দেখা শুরু করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
We’re now on WhatsApp- Click to join
সরকারি স্পার্ক (SPARC) প্রকল্পের আওতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটেনের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু হয়েছে এই গবেষণাযৌথ উদ্যোগে। নেতৃত্বে রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীলাঞ্জনা গুপ্ত এবং ড. রাহী সোরেন ও লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ড. ইয়ান মাজেদেরা। তাঁদের লক্ষ্য, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকে শুধু একটি উৎসব হিসেবে নয়, বরং চিহ্নিত করা এক জীবন্ত অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে।
We’re now on Telegram- Click to join
গবেষণার অংশ হিসেবে স্থানীয় শিল্পীদের মৌখিক ইতিহাস, সাক্ষাৎকার এবং শিল্পকর্ম তৈরির জন্য নানা ধাপ করা হচ্ছে নথিভুক্ত। প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এই ঐতিহ্য যান্ত্রিকতার বাড়-বাড়ন্ত, সরকারি স্বীকৃতির অভাব এবং প্রজন্ম বদলের কারণে আজ চাপে রয়েছে। তাই প্রয়োজন সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং নথিভুক্ত করার। নীলাঞ্জনা গুপ্ত বলেছেন, “এখনও চন্দননগরে বারোয়ারি পুজোর ব্যাপারটা আছে, যা শহর কলকাতার দুর্গাপুজো থেকে চলে গিয়েছে। তবে, যাঁরা শোলার কাজ করেন কিংবা অন্যান্যভাবে জড়িত, সেই মানুষগুলির আগে রুটি-রুজি করতে হবে নিশ্চিত। নাহলে ঐতিহ্য রক্ষা করা যাবে না।”
View this post on Instagram
তিনি আরও বলেছেন, “ঐতিহ্য রক্ষা মানে কেবল কিছু ভবনের সংরক্ষণ নয়, রক্ষা করা মানুষকেও। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা অন্যান্য ফ্যাক্টর তো আছেই। সেগুলিও ঐতিহ্যে ফেলছে কুপ্রভাব। যেমন, এ রাজ্যে উপযুক্ত জলাভূমির অভাবে একেবারেই কমে গিয়েছে শোলা চাষ। ডাকের সাজের শোলার জন্য আমরা নির্ভরশীল বাংলাদেশের উপর। এছাড়া, আমাদের রাজ্যে তো বটেই, ঐতিহ্য রক্ষা নিয়ে দেশেও সঠিক নীতি নেই। সেটাও ভাবতে হবে সরকারকে।”
এই নিয়ে গ্রাউন্ড লেভেলের কাজ ছাড়াও কর্মশালা এবং আলোচনা সভা আয়োজিত হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অদৃশ্য ঐতিহ্য, নগর ঐতিহ্য এবং পরিবেশনার সংযোগ নিয়ে কর্মশালা হয়। পরে আহমেদাবাদ এবং কেরলের আলেপ্পিতেও আয়োজিত হয় সম্মেলন। প্রখ্যাত গবেষক মলি কৌশল, জানকি নায়ার, দাদি পুদুমজি, অনন্যা ভট্টাচার্য প্রমুখরা অংশ নেন আলোচনায়। তাতে উঠে আসে আধুনিকতা, ঐতিহ্য, স্মৃতি এবং সম্প্রদায়ের রাজনীতির নানা প্রশ্ন।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।