শীতকালে ডায়াবেটিস আক্রান্তকারী রোগীদের গরম জলে স্নান হানিকারক হতে পারে!
ডায়াবেটিস একটি জটিল অসুখ
শীতকালে আমরা সবাই কমবেশি গরম জলেই স্নান করি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। শীতকালে নানারকম অসুখই নতুন রূপ নেয়। আমরা মূলত শীত থেকে বাঁচতেই গরম জলে স্নান করি। এতে আমাদের আরামও হয়। কিন্তু সকলের জন্য সবকিছু হতে পারেনা। গরম জলে স্নান শীতকালে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য হানিকারক হতে পারে। কারণ তাদের ইনসুলিনের সমস্যা, ত্বকের অসুখ দেখা দিতে পারে।
এখনকার দিনে বেশিভাগ বাড়িতেই ডায়াবেটিস আক্রান্তকারী রোগীর সন্ধান মেলে। ভারতে এই বিশাল সংখ্যক ডায়াবেটিস আক্রান্তকারী রোগী থাকার পরও অনেকে রোগের লক্ষণই জানেন না। তাদের রোগের উপসর্গ জানার পাশাপাশি বছরে একবার অন্তত সুগার পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে ফাস্টিং করলেও চলবে। কারণ ডায়াবেটিস খুবই জটিল অসুখ। এই রোগ থাকলে ইনসুলিন হরমোন কাজ করতে পারে না বা তৈরি হয় না পর্যাপ্ত পরিমাণে। তাই রক্তে শর্করার পরিমান বেড়ে যায়। এবার রক্তে শর্করা বাড়লে তা অঙ্গের ক্ষতি করে। তাই বলা হয় ফাস্টিং ১২৬ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে রাখার কথা।
গরম জলে স্নান:
•শীতকালে ডায়াবেটিস আক্রান্তকারী রোগীরা গরম জলে স্নান করলে ত্বক খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া ত্বকে নানারকম ইনফেকশন, চুলকানি এইসব সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে পরে এবং ত্বকে প্রদাহ হয়। তাই গরম জলে স্নান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিজে ডাক্তারী করতে যাবেন না, তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
•শীতকালে ডায়াবেটিস আক্রান্তকারী রোগীরা গরম জলে স্নান করলে পায়ের ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হয়। ক্ষত থেকে শুরু করে ইনফেকশনের আশঙ্কা তখন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এমনকী ত্বকের সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি পায়। তাই সতর্ক না হলে সমস্যা প্রাণনাশক হতে পারে।
•এখন অনেকেই হাই সুগারে ভোগেন, তাই তারা সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইনসুলিন নিয়ে থাকেন। তবে মাথায় রাখতে হবে যে, এই রোগীদের গরম জলে স্নান করার সময় সতর্ক থাকা উচিত। গরম জল রক্তনালীকে শান্ত করে দেয়। এই কারণে ইনসুলিন দ্রুত শরীরে গৃহীত হয়। এবার আপনি ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর গরম জলে স্নান করলে ইনসুলিন খুব দ্রুত কাজ করে। তাই সুগার ফল করতে পারে। তখন আবার অন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে হঠাৎ বুক ধড়পড়, মাথা ঘোরা, ঘাম হওয়ার মতো লক্ষণ দেখলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
পরিশেষে বলা যায় যে, বেশি গরম জলে স্নান না করে কুসুম কুসুম গরম জলে স্নান করলে সমস্যা কিছুটা এড়ানো সম্ভব। এছাড়়া ত্বকের শুষ্কতা এড়াতে লাগাতে হবে ময়াশ্চারাইজার। ফলে ত্বক সুস্থ ও সতেজ থাকবে।