Animal Blood Transfusion SOP: পশুপালন মন্ত্রকের ঐতিহাসিক উদ্যোগ, ব্লাড ব্যাংক এবং রক্তদানের জন্য SOP প্রকাশ করা হয়েছে
ভারতে ৫৩.৭ কোটি গবাদি পশু এবং প্রায় ১২.৫ কোটি পোষ্য প্রাণী (কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি ) রয়েছে। এই খাতটি কেবল কৃষক এবং গ্রামবাসীদের জীবিকার ভিত্তি নয় বরং জাতীয় জিডিপির ৫.৫% এবং কৃষি জিডিপিতে ৩০% এরও বেশি অবদান রাখে।
Animal Blood Transfusion SOP: পশুপালন ও দুগ্ধজাত দ্রব্য বিভাগ প্রথমবার পশুদের জন্য রক্ত সঞ্চালন এবং ব্লাড ব্যাংক SOP জারি করেছে
হাইলাইটস:
- প্রাণীদেরও গুরুতর অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচারের সময় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়
- পশুপালন ও দুগ্ধজাত দ্রব্য বিভা পশুদের জন্য রক্ত সঞ্চালন এবং ব্লাড ব্যাংক SOP জারি করেছে
- এই পদক্ষেপ ভারতকে পশুচিকিৎসা খাতে অনেকটা এগিয়ে দেবে
Animal Blood Transfusion SOP: মানুষের মতো, প্রাণীদেরও কখনও কখনও গুরুতর অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচারের সময় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভারতে পশুদের রক্ত সঞ্চালনের বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা বা SOP ছিল না। এই শূন্যতা পূরণের জন্য, পশুপালন ও দুগ্ধ বিভাগ সম্প্রতি “পশুদের জন্য রক্ত সঞ্চালন এবং ব্লাড ব্যাংক নির্দেশিকা এবং SOP” জারি করেছে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
এই নতুন নির্দেশিকাগুলি কেন প্রয়োজনীয়?
ভারতে ৫৩.৭ কোটি গবাদি পশু এবং প্রায় ১২.৫ কোটি পোষ্য প্রাণী (কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি ) রয়েছে। এই খাতটি কেবল কৃষক এবং গ্রামবাসীদের জীবিকার ভিত্তি নয় বরং জাতীয় জিডিপির ৫.৫% এবং কৃষি জিডিপিতে ৩০% এরও বেশি অবদান রাখে। এমন এক সময়ে যখন পশুচিকিৎসা বিজ্ঞান দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, জরুরি পরিস্থিতিতে রক্ত সঞ্চালনের মতো পরিষেবা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Under the dynamic leadership of PM Shree @narendramodi ji, India has launched its first-ever National Guidelines for Animal Blood Transfusion & Veterinary Blood Banks, ensuring state-regulated systems, strong biosafety, and future-ready innovations for animal healthcare. pic.twitter.com/xcPpeFsjHi
— Zubin Ashara (@zubinashara) August 26, 2025
নির্দেশিকাগুলিতে বিশেষ কী রয়েছে?
• নতুন নির্দেশিকা এবং SOP-তে, রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কিত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বৈজ্ঞানিক, নীতিগত এবং নিরাপদ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
• রাজ্য পর্যায়ে ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা – যেখানে আধুনিক ল্যাব থাকবে এবং জৈব নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলবে।
• রক্তের টাইপিং এবং ক্রস-ম্যাচিং বাধ্যতামূলক – যাতে পশুদের রক্ত দেওয়ার পরে কোনও অসঙ্গতি বা প্রতিক্রিয়া না হয়।
• দাতা প্রাণীদের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড – কেবলমাত্র সুস্থ, উপযুক্ত বয়স এবং ওজন, টিকাপ্রাপ্ত এবং রোগমুক্ত প্রাণীই রক্তদান করতে পারবে।
• স্বেচ্ছায় দানের উপর জোর – রক্তদান কোনও প্রলোভন ছাড়াই, মালিকের সম্মতিতে এবং ‘দাতা অধিকার সনদ’ অনুসারে করা হবে।
• রক্তদান এবং সঞ্চালনের সময় জুনোটিক রোগের (যা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে) ঝুঁকি এড়াতে – এক স্বাস্থ্য নীতির উপর মনোযোগ দিন।
We’re now on Telegram – Click to join
এই SOP কে তৈরি করেছে?
এই নির্দেশিকাগুলি তৈরিতে ভারতের ভেটেরিনারি কাউন্সিল, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিএআর ইনস্টিটিউট, রাজ্য সরকার, অনুশীলনকারী পশুচিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতা করেছেন। এর লক্ষ্য হল ভারতের ভেটেরিনারি পরিষেবাগুলিকে বিশ্বব্যাপী মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।
ভবিষ্যতের উপর প্রভাব
• এই SOP গুলি বাস্তবায়নের ফলে ভারতে পশু স্বাস্থ্য পরিষেবায় এক বিরাট পরিবর্তন আসবে।
• সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রাণীদের জীবন বাঁচানো সহজ হবে।
Read more:- ব্লাড ক্যান্সার সচেতনতা মাসে জেনে নিন ব্লাড ক্যান্সার কী? এবং আপনি কীভাবে অবদান রাখতে পারেন?
• পশুপালক এবং পোষা প্রাণীর মালিকরা আরও ভালো জরুরি সেবা পেতে সক্ষম হবেন।
• গ্রামীণ এলাকায় গবাদি পশুর উৎপাদনশীলতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।
• এই পদক্ষেপ ভারতকে পশুচিকিৎসা খাতে বিশ্বব্যাপী নেতা করে তুলবে।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।