Dhumketu Review: দেব-শুভশ্রীর অনস্ক্রিন চুমু থেকে শুরু করে প্রেম-যন্ত্রণা, পাহাড়ি প্রেক্ষাপটে কেমন হল দেশুর ‘ধূমকেতু’? রইল রিভিউ
ছবির নামের সার্থকতা অবশেষে হল, 'ধূমকেতু'র মতোই হাজির হন ভানু ওরফে দেব, বন্ধু যোগেশের ওরফে রুদ্রর কাছে। তারপর হয় ফ্ল্যাশব্যাক, আর ফ্ল্যাশের ফরোয়ার্ডে এগোয় ছবি। অন্ধকারের মাঝে আলো খোঁজার ছবি, ভালোবাসার ছবি, ভালোবাসা হারানোরও ছবি।
Dhumketu Review: প্রেম, বন্ধুত্ব, অতীত নিয়ে তৈরি দেব-শুভশ্রীর অসামপ্ত প্রেমকাহিনী, ভালোবাসার ছবি ‘ধূমকেতু’র রিভিউ এখানে পড়ুন
হাইলাইটস:
- কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত এবং দেব-শুভশ্রী অভিনীত ‘ধূমকেতু’
- ১০ বছর পর অপেক্ষার অবসান কাটিয়ে ১৪ই আগস্ট মুক্তি পেয়েছে ‘ধূমকেতু’
- আজ এই প্রতিবেদনে দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ ছবিটির রিভিউ দেখে নিন
Dhumketu Review: সম্প্রতি, এদিন ‘ধুমকেতু’ ছবির ট্রেলার লঞ্চের দিন এই জুটিকে এত বছর পর একসাথে দেখে উন্মাদনায় ফেটে পড়েছেন ভক্তরা। তবে এই ছবির রিভিউ লেখাটা বেশ কঠিন। তবে সাধারণত, সিঙ্গল স্ক্রিনে এমন হইহই দেখে যায় মূলত, সিনেম্যাটিক ব্রিলিয়ান্স নিয়ে নয় এখানে আবেগটাই মুখ্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী দিল দেশুর ‘ধূমকেতু’? বলাই চলে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে গেল ঠিক ১০ বছর আগে। অবশেষে বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। মুক্তিতে দেরি হয়েছে ঠিকই তবে দেবের স্পষ্টতর উচ্চারণ বিলম্ব উপহার দিল। হ্যাঁ, দেব দশ বছর আগের ‘ভানু’ হয়ে উঠতে ডাবিংয়ে বেশ যত্ন নিয়েছেন, সে তরুণ হোক বা বৃদ্ধ।
We’re now on WhatsApp- Click to join
প্রেক্ষাপট
ছবির নামের সার্থকতা অবশেষে হল, ‘ধূমকেতু’র মতোই হাজির হন ভানু ওরফে দেব, বন্ধু যোগেশের ওরফে রুদ্রর কাছে। তারপর হয় ফ্ল্যাশব্যাক, আর ফ্ল্যাশের ফরোয়ার্ডে এগোয় ছবি। অন্ধকারের মাঝে আলো খোঁজার ছবি, ভালোবাসার ছবি, ভালোবাসা হারানোরও ছবি। পাহাড়ি অঞ্চলের চিত্রনাট্য প্রেক্ষাপটে। মোহনগঞ্জের ছেলে ভানু। একটা ঝামেলায় ভানুর ভাই রবি খুন হয়েছিল এবং কোনওক্রমে ভানু পালিয়ে গিয়েছিল। সেও প্রায় কেটে গিয়েছে চার বছর। এমন সময়ে ঘটে ভানুর প্রত্যাবর্তন। তাকে পাঠিয়েছে বড় দায়িত্ব দিয়ে চিফ (চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী)। ছোটবেলার বন্ধুত্ব, প্রেম, অতীত, পরিবার সব কিছু থেকে সে উৎখাত হয়েছিল, কীভাবে–একটু একটু করে তার অতীতের ছায়াপথ এবার সামনে আসে।
View this post on Instagram
এক মুহূর্তের জন্যও স্ত্রী রূপা (শুভশ্রী) তাকে ভুলতে পারেনি। তার পৃথিবী শ্বশুর-শাশুড়ি (দুলাল লাহিড়ী-অলোকনন্দা রায়) এবং ছোট্ট কন্যা তিতলিকে ঘিরেই। সন্তানহারা বাবা-মাও, তাঁদের পুত্রবধূ এবং ছেলেদের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেই ভানু আসে বাল্যবন্ধু যোগেশের কাছে। এরপরই ভানুর অন্বেষণ হয় এবং ছবিতে কী কী হয় সেটাই দেখার।
We’re now on Telegram- Click to join
রিভিউ
ছবিটি ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ তো বটেই। পরিচালক কৌশিক শিমলা-নৈনিতালের প্রকৃতিতে বড় ক্যানভাস ধরেছেন। ভালোই দায়িত্বভার সামলেছেন ডিওপি সৌমিক হালদার। এই ছবিতে সন্ত্রাস, দেশপ্রেম এসব বিষয়গুলো এলেও ছবিটা যতখানি যন্ত্রণার, প্রেমের, ঠিক ততখানি রয়েছে বন্ধুত্বের ছবি। এবার আসা যাক দেশুর প্রসঙ্গে, ঠিক ১০ বছর আগে যখন তাঁরা এই ছবিতে কাজ করছেন, তখন তাঁদের সদ্য বিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু পর্দায় তাঁদের মনে হচ্ছে আজন্মের প্রেমিক-প্রেমিকা। এবং বন্ধুর চরিত্রে রুদ্রনীল ঘোষ করেছেন বাজিমাত। একটি বিশেষ চরিত্রে যখন ভানুর মুখোমুখি পরমব্রত, শুধু চোখের চাওয়ায় করেছেন মাত। দেবের বাবার চরিত্রে যথাযথ দুলাল লাহিড়ী।
Read More- ‘ধূমকেতু ২ হবে, তবে…’, ধূমকেতু রিলিজের আগে এদিন কোন শর্ত দিয়ে বসলেন দেব-রানা?
অন্যদিকে, ছবিতে রয়েছে চারটি গান। অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে ‘গানে গানে’ ভালো লাগে এবং অনুপম রায়ের গাওয়া ‘মা’ গানটা ছবির ওই সময়ের মেজাজের সাথে অত্যন্ত মানানসই।
সব মিলিয়ে বলাই বাহুল্য যে ছবিটা দেখতে দেখতে মনে হবে, পুরানো প্রেমের নতুন গান লিখতে পারে জীবন।
এইরকম আরও বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।