TMC 21 July: ২৬শের লড়াইয়ে আজ বিশেষ বার্তা! দলের নেতা-কর্মীদের কাছে ২১শে জুলাই কী বার্তা রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিকেই নজর রাজনীতি মহলের
এবারে প্রধান বার্তা হল বাঙালি আবেগ এবং বাঙালি অস্মিতাকে সামনে রেখেই আরও জোরদার লড়াই। অত্যাচারিত বাঙালিরা দিকে দিকে। চলবে এর প্রতিবাদ। এই ইস্যুতে কেবল রাজ্য-কেন্দ্রিক কর্মসূচিই নয়, ঘোষণা হতে পারে দিল্লি-কেন্দ্রিক কর্মসূচিও।
TMC 21 July: আজ ধর্মতলায় ‘শহীদ স্মরণে’ বিশেষ বার্তা মমতা-অভিষেকের! হাজির থাকবেন অন্য শীর্ষনেতারাও
হাইলাইটস:
- ২৬শের নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের শেষ উদযাপন আজ অর্থাৎ ২১শে জুলাই
- প্রতি বছরের মতো এ বছরও ধর্মতলায় এই বিশেষ মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে
- এই সভায় হাজির থাকবেন মমতা-অভিষেক ছাড়াও দলের আরও অন্য শীর্ষনেতারা
TMC 21 July: ২০২৫ সালের ২১শে জুলাই, অর্থাৎ আজ থেকে এবার ২৬শে লড়ার পূর্ণ বার্তা। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে দিয়ে, এবার সাংগঠনিক কাঠামো আরও বেশ শক্তিশালী। আরও বেশি করে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করাই হল লক্ষ্য৷ জনমুখী করার বার্তা দলকে আরও বেশি করে পারফরম্যান্স দেখেই পদ দেওয়া হয়েছে, তা মনে করিয়ে দেওয়া নতুন-পুরনো ভারসাম্য রেখেই চলতে হবে এবার ভোটে৷
We’re now on WhatsApp- Click to join
এবার ২৬শে লড়াইয়ের পূর্ণ বার্তা
এবারে প্রধান বার্তা হল বাঙালি আবেগ এবং বাঙালি অস্মিতাকে সামনে রেখেই আরও জোরদার লড়াই। অত্যাচারিত বাঙালিরা দিকে দিকে। চলবে এর প্রতিবাদ। এই ইস্যুতে কেবল রাজ্য-কেন্দ্রিক কর্মসূচিই নয়, ঘোষণা হতে পারে দিল্লি-কেন্দ্রিক কর্মসূচিও। অসম-ওড়িশা এবার বিশেষ নজরে। পুরোপুরি রাস্তায় থাকবে বঞ্চনা ইস্যুতে দল।
We’re now on Telegram- Click to join
শেষ কথা দলীয় শৃঙ্খলাই। কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দলের সিদ্ধান্ত না মানলে। একাধিক জেলার ঘটনা তার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে। একাধিক আসন পেয়ে লোকসভায় ঘরে বসে থাকলাম তা কিন্তু চলবে না। একাধিক কর্মসূচী দল নিচ্ছে। এর পাশাপাশি কোনও ফাঁকি দেওয়া যাবে না স্থানীয় ভাবে জনসংযোগ করায়।
শেষ কথা পারফরম্যান্স। পদ আঁকড়ে ধরে বসে থাকলাম, আর এর ফল দিতে পারলাম না এটা কিন্তু চলবে না। পুরসভা, পঞ্চায়েত থেকে সাংগঠনিক নেতা। কে কী কাজ করছেন প্রত্যেকে? এর মূল্যায়ন করছে দল। পদোন্নতি নেতা ধরে নয়। বেশি করে ব্যস্ত থাকতে হবে সাংগঠনিক কাজে। কাজ হবে দলীয় পদোন্নতি এবং ভোটে লড়ার মাপকাঠি। দলের কথা বলতে হবে দলের অন্দরেই। সাংসদ হয়ে গেলাম মানেই দিল্লি অভিমুখে চলে গেলাম তা কিন্তু একেবারেই নয়। নিয়মিত সময় দিতে হবে নিজের সংসদীয় এলাকায়। এমনটাই বার্তা এবার দলের পক্ষ থেকে।
বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সুর আরও চড়াবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটে থাকার এবার দায়িত্বশীল ভূমিকাও তৃণমূল পালন করবে। তবে, কোনও নির্দিষ্ট রাজনীতি দলের দাদাগিরি না-পসন্দ।
বিভাজনের রাজনীতি না, উন্নয়নের অস্ত্রেই হবে এবার বাজিমাত। আজ, ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে হাজির থাকবেন সমস্ত সাংসদ এবং বিধায়করা। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন পুরসভা এবং জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত স্তরের সব জনপ্রতিনিধিরাও।
এইরকম আরও রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।