Smartphone Lock: ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আনলক নাকি পাসকোড! সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা পদ্ধতি কোনটি?
ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং দ্রুত এবং ব্যবহার করা সহজ। এই ফিচারটি বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই দেওয়া হয় এবং এটি প্রায় প্রতিটি পরিস্থিতিতেই কাজ করে। কিন্তু হাত নোংরা বা ভেজা থাকলে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান সঠিকভাবে কাজ করে না।
Smartphone Lock: আপনার ফোন লক করার জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে নিরাপদ: ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, ফেস আনলক নাকি পাসকোড? জানুন
হাইলাইটস:
- আজকাল স্মার্টফোন কেবল কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য ব্যবহার হয় না
- এখন এটি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে
- এমন পরিস্থিতিতে ফোনটি নিরাপদ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে
Smartphone Lock: আজকাল স্মার্টফোন কেবল কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য নয়, বরং আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি ব্যাঙ্কের বিবরণ, ব্যক্তিগত ছবি, গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং চ্যাটের মতো সংবেদনশীল তথ্য সংরক্ষণ করে। এমন পরিস্থিতিতে ফোনটি নিরাপদ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রশ্ন হল, আপনার ফোন লক করার জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে নিরাপদ: ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, ফেস আনলক নাকি পাসকোড?
We’re now on WhatsApp – Click to join
ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং দ্রুত এবং ব্যবহার করা সহজ। এই ফিচারটি বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই দেওয়া হয় এবং এটি প্রায় প্রতিটি পরিস্থিতিতেই কাজ করে। কিন্তু হাত নোংরা বা ভেজা থাকলে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান সঠিকভাবে কাজ করে না। কিছু বাজেট ফোনে সেন্সরের মান কম হতে পারে। তবে এটি এই পদ্ধতিটি বেশ নিরাপদ বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে ভালো মানের সেন্সর যুক্ত ফোনে। কিন্তু সস্তা ফোনে সেন্সরের নির্ভরযোগ্যতা কম হতে পারে।
We’re now on Telegram – Click to join
ফেস আনলকের মাধ্যমে ফোনটি স্পর্শ না করেই আনলক করা সম্ভব। কোভিডের আগে এই পদ্ধতিটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিল কারণ এতে কোনও স্পর্শের প্রয়োজন হয় না। এই ফিচারটি কম আলোতে, অথবা মাস্ক বা চশমা পরলে সঠিকভাবে কাজ করে না। অনেক সময় মুখ সঠিকভাবে শনাক্ত করা যায় না। যদি আপনার ফোনে 3D ফেস স্ক্যানিং থাকে (iPhone-এর মতো), তাহলে এটি বেশ নির্ভরযোগ্য। কিন্তু শুধুমাত্র ক্যামেরা-ভিত্তিক 2D স্ক্যানিং সহজেই জালিয়াতির ঝুঁকি বাড়ায়।
সকল স্মার্টফোনেই একটি পাসকোড বা পিন থাকে এবং এটি একটি মৌলিক নিরাপত্তা পদ্ধতি। এর সবচেয়ে বড় ফিচার হল, বায়োমেট্রিক সিস্টেম ব্যর্থ হলেও এটি কাজ করে। যদি কেউ আপনার পাসকোড জানে অথবা আপনার স্ক্রিন দেখে ফেলে, তাহলে আপনার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আপনি যদি ৬-সংখ্যার বা বর্ণসংখ্যার (অক্ষর + সংখ্যা) পাসওয়ার্ড বেছে নেন, তাহলে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রদান করে।
Read more:- iQOO 13 নতুন অবতারে লঞ্চ হল, তিনটি 50MP ক্যামেরা এবং 16GB পর্যন্ত র্যাম থাকবে
আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনের নিরাপত্তার সাথে আপস করতে না চান, তাহলে শুধুমাত্র একটি লকিং সিস্টেমের উপর নির্ভর করা ঠিক নয়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আনলক চালু রাখেন এবং সাথে একটি শক্তিশালী পাসকোডও রাখেন। ঘন ঘন আপনার পাসকোড পরিবর্তন করুন, এবং এমন একটি কোড বেছে নিন যা কেউ সহজে অনুমান করতে পারবে না।
প্রযুক্তি সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।