Pahalgam Terror Attack Update: পর্যটক নয়, ভারতীয় গুপ্তচর দলের উপরই হামলা করা হয়েছে! সারা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠতেই নিজেদের কর্মকাণ্ডের সাফাই দিল টিএফআর
গত ২২শে এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় মোট ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়৷ এই হামলার দায় স্বীকার করে লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফ৷ সারা বিশ্বজুড়ে এই হামলার প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় উঠতেই তড়িঘড়ি একটি বিবৃতি জারি করে ওই জঙ্গি সংগঠন৷

Pahalgam Terror Attack Update: লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন টিএফআর জানিয়েছে, দিল্লি থেকে ভারতীয় গুপ্তচর দলকে পাঠানো হয়েছিল কাশ্মীর উপত্যকায়
হাইলাইটস:
- নারকীয় হত্যালীলা চালিয়ে অবশেষে সাফাই দিল টিএফআর
- পর্যটক নয়, ভারতীয় গুপ্তচর দলের উপরই হামলা চালিয়েছে তারা
- একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফ
Pahalgam Terror Attack Update: কোনও নিরীহ পর্যটক নয়! পহেলগাঁওয়ে যাঁদের নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন ভারতের আন্ডারকভার এজেন্ট বা গুপ্তচর৷ ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সির হয়ে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই নাকি তাঁরা কাশ্মীরে এসেছিলেন৷ পহেলগাঁওয়ে এই নারকীয় হত্যালীলার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে স্পষ্ট এমনই দাবি করল লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন টিআরএফ৷
We’re now on WhatsApp – Click to join
গত ২২শে এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় মোট ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়৷ এই হামলার দায় স্বীকার করে লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফ৷ সারা বিশ্বজুড়ে এই হামলার প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় উঠতেই তড়িঘড়ি একটি বিবৃতি জারি করে ওই জঙ্গি সংগঠন৷
সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাঁদের নিশানা করা হয়েছে, তাঁরা কেউই সাধারণ পর্যটক ছিলেন না। এঁরা প্রত্যেকেই আইবি, র-এর মতো ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত নয়তো ইন্ডিয়ান নেভি অথবা সরকারি কোনও পদে ছিলেন৷ এই গোটা দলটিকে দিল্লি থেকেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে কাশ্মীর উপত্যকার পাঠানো হয়েছিল এখানকার পরিস্থিতি সরোজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য৷ দিল্লি থেকে এদের সঙ্গে কয়েকজন বিদেশিকেও পাঠানো হয়েছিল৷ এটা কোনও সাধারণ পর্যটকদের দল ছিল না, বরং রিসার্চের দায়িত্ব দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই এঁদের কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল৷
টিআরএফ-এর তরফে ওই বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, অতীতেও নাকি একই ধরনের দায়িত্ব দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করতে আরও বেশ কয়েকটি দলকে উপত্যকায় পাঠানো হয়েছিল৷ তাদের সুপারিশের উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীররে বেশ কয়েকটি একতরফা সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপও নিয়েছে৷
টিআরএফ-এর আরও অভিযোগ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সমস্ত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে বিপুল সংখ্যক বহিরাগতদের কাশ্মীরে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া৷ বহিরাগতদের বিপুল সংখ্যায় সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত করা। স্থানীয় কর্মসংস্থান এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ নিরাপত্তার প্রয়োজনের অছিলায় কাশ্মীরবাসীর জমি দখল করে নেওয়া, শিল্পের নামে বহিরাগতদের হাতে কাশ্মীরের জমি তুলে দেওয়া সহ আরও একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে।
We’re now on Telegram – Click to join
এই সমস্ত অভিযোগ তুলে জঙ্গি সংগঠন টিআরএফ দাবি করেছে, জম্মু ও কাশ্মীরের স্বার্থরক্ষার লড়াইকে যারা দমন করার চেষ্টা করেছে, তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো হয়েছে৷
যার ফলে ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্সিগুলির আশঙ্কা, এবার জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাসকারী বহিরাগতদের উপরও যে কোনও সময় হামলা করা হতে পারে৷ পর্যটক কিংবা অন্যান্য রাজ্য থেকে কাশ্মীরে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা মানুষজন, কাশ্মীরি পণ্ডিত, পুলিশ এবং রেলকর্মীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে৷ এই সতর্কবার্তায় নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI এবং তাদের সহযোগী জঙ্গি সংগঠনগুলির তরফে জম্মু ও কাশ্মীরের আসা পর্যটক, অন্য রাজ্যের বাসিন্দা, পুলিশ এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে যে কোনও সময় হামলা চালানো হতে পারে৷
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।