Kashmir Attack: “জঙ্গিরা কাছে আসতে চিৎকার করে পড়তে থাকি কলমা…”! কীভাবে জঙ্গিদের কাছ থেকে পরিবারের প্রাণ বাঁচিয়েছেন এই বাঙালি অধ্যাপক? জেনে নিন বিস্তারিত
যদিও, এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েও একপ্রকার অভাবনীয় ভাবে প্রাণে বেঁচেছেন এক বাঙালি অধ্যাপক। কেবল তাই নয়, এই সন্ত্রাসবাদী জঙ্গিদের সামনে কলমা শুনিয়েই প্রাণ বেঁচেছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে যে, অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হলেন দেবাশীষ ভট্টাচার্য, যিনি গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার সময়ে সেখানে হাজির ছিলেন।

Kashmir Attack: ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় বুদ্ধির জেরে প্রাণে বেঁচেছেন বাঙালি এই অধ্যাপক এবং তাঁর পরিবার, শুনুন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা
হাইলাইটস:
- গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে জঙ্গিরা নিরীহ পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়
- এই হামলায় প্রাণে বেঁচেছেন এই বাঙালি অধ্যাপক এবং তাঁর পরিবার
- কীভাবে কলমা পড়ে জঙ্গির হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করলেন অধ্যাপক? জানুন
Kashmir Attack: গত মঙ্গলবারই কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের ভয়াবহ জঙ্গী হামলায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন নিরীহ পর্যটক। ভুস্বর্গে অর্থাৎ কাশ্মীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েই এদিন জঙ্গিদের হাতে নৃশংসভাবে প্রাণ হারান তাঁরা। সবথেকে একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, ইতিমধ্যে, এমন অভিযোগ উঠছে যে, প্রথমে জঙ্গিরা পর্যটকদের কাছ থেকে তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় জানতে এবং কোরানের কলমা শুনতে চান। প্রত্যাশামতো উত্তর না পেয়েই তৎক্ষণাৎই গুলি চালানো হয়।
We’re now on WhatsApp- Click to join
কীভাবে এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণে বাঁচলেন অধ্যাপক এবং তাঁর পরিবার?
যদিও, এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েও একপ্রকার অভাবনীয় ভাবে প্রাণে বেঁচেছেন এক বাঙালি অধ্যাপক। কেবল তাই নয়, এই সন্ত্রাসবাদী জঙ্গিদের সামনে কলমা শুনিয়েই প্রাণ বেঁচেছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে যে, অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হলেন দেবাশীষ ভট্টাচার্য, যিনি গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার সময়ে সেখানে হাজির ছিলেন। সঙ্গে তাঁর পুত্র এবং স্ত্রীকে নিয়ে।
We’re now on Telegram- Click to join
এই ভয়াবহ মর্মান্তিক ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এদিন তিনি বলেছেন, এদিন হামলার সময়ে বন্দুকধারী জঙ্গীরা ওনার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেতেই তিনি জোরে পড়তে থাকেন কলমা। অধ্যাপক জানিয়েছেন, “আমি আরও চিৎকার করে কলমা পড়তে থাকি। সেসময়ে আমি জানি না এটা কীভাবে করতে পারলাম, কিন্তু তারপরেই ফিরে যায় ওই জঙ্গী”। কেবল মাত্র তাই নয়, ওই জঙ্গি তাঁর পাশে থাকা ব্যক্তিকেও গুলি করে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে এই মর্মান্তিক ঘটনার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না এই বাঙালি অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্য। তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, “আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে, আমি জীবিত আছি। আমার পরিবার এখন আছে শ্রীনগরে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফেরা যায় তারই রীতিমতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে, কীভাবে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছেছেন সেই প্রসঙ্গে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে অধ্যাপক বলেছেন, “হামলা চলাকালীন সুযোগ পেয়ে চুপচাপ উঠে আমার স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে আমরা দ্রুত সেখানকার বেড়া পেরিয়ে হাঁটতে থাকি। আমরা প্রায় ২ ঘণ্টা হাঁটার পর সেখানের রাস্তা হারিয়ে ফেলি। তারপরে রাস্তায় ঘোড়ার খুরের চিহ্ন দেখতে পেয়ে একজন ঘোড়সওয়ারের কাছে পৌঁছে যাই সাহায্য চাইতে। আর এইভাবে হোটেলে পৌঁছাই।”
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।