Kashmir Terror Attack: হিন্দু হওয়ার অপরাধে গুলি করে হত্যা করা হয় ২৮ জন পর্যটককে, পহেলগাঁওয়ে হামলার পিছনে টিআরএফের ভূমিকা কী? কী ভাবে তৈরি হয়েছিল এই সন্ত্রাসী সংগঠন?
গতকাল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ফের শিরোনামে উঠে এসেছে দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্ট। এই সন্ত্রাসী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে তারা।

Kashmir Terror Attack: হিন্দু হওয়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ গেল ২৮ জন হিন্দু পর্যটকের
হাইলাইটস:
- পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসী সংগঠন টিআরএফ
- এই সংগঠন ২০১৯ সালে লস্কর-ই-তইবা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন একসঙ্গে মিলে তৈরি হয়
- কাশ্মীরে অবৈধভাবে বসতি গড়তে চাইলে উপত্যকায় আবারও হামলা হবে বলে হুঁশিয়ারি সন্ত্রাসীদের
Kashmir Terror Attack: ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে কাশ্মীরের একদল লোক। পরে সেই প্রতিবাদের নাম দেওয়া হয় ‘কাশ্মীরি রেজিস্ট্যান্স’। সূত্রের খবর, সেই সময় পাক মদতকৃত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন একসঙ্গে মিলে টিআরএফ (TRF) গঠন করে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
গতকাল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ফের শিরোনামে উঠে এসেছে দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্ট। এই সন্ত্রাসী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। এই সংগঠন হামলার স্বীকার করে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে কাশ্মীরে অবৈধভাবে বসতি গড়তে চাইলে উপত্যকায় এই ধরনের হামলা চলতেই থাকবে। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে গঠিত এই সংগঠন অতীতেও সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত। আপনি কী জানেন কী ভাবে তৈরি হল এই দল?
দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্ট কী?
২০২১ সালে ORF ম্যাগাজিন টিআরএফ-এর উপর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এই সংস্থা প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর একটি বড় ভূমিকা ছিল। এই সংগঠনের নামও নাকি ISI কর্মকর্তারাই প্রস্তাব করেছিলেন।
We’re now on Telegram – Click to join
টিআরএফ হল প্রথম কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন যার নাম ইংরেজিতে দেওয়া হয়েছে। এর আগে সন্ত্রাসী সংগঠনের নামে উর্দু বা ফারসি শব্দই ব্যবহার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিশ্বের চোখ এড়াতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা এই সংগঠনের নামে ইংরেজি শব্দের ব্যবহার করেছিলেন।
টিআরএফ কী ভাবে কাজ করে?
জানা যাচ্ছে, এই সংগঠনে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীদের প্রথমে নিয়ে যাওয়ার সীমান্তের ওপারে যথাযথ প্রশিক্ষণের জন্য। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে এই সন্ত্রাসী হামলার পিছনেও পাক জঙ্গিদের হাত আছে বলেই খবর মিলেছে। প্রশিক্ষণের পর তারা ফিরে আসে দেশে। জানা যায়, এই ঘটনাটি ঘটানোর আগে টিআরএফ সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িতেই ছিল। এরপর সিগন্যাল পাওয়ার পরই অপারেশনে বেরোয় তারা। শুরু করে পর্যটকদের উপর আক্রমণ। হামলার পর, পহেলগাঁওয়ের পিছনে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বলেই খবর।
এই রেসিডেন্ট ফ্রন্ট সংগঠনটি শেখ সাজ্জাদ গুল প্রতিষ্ঠা করলেও বর্তমানে এর কোনও প্রধান নেই। সংগঠনে একটি কমান্ডার সিস্টেম আছে, যারা জোন অনুযায়ীই কাজ করে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, টিআরএফের সকল কমান্ডার কেবলমাত্র পাকিস্তান থেকে নির্দেশ পান।
২০২২ সালের পর, মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এই সংগঠনটির উপরেও এর প্রভাব পড়ে। যার ফলে সংগঠনটি পাকিস্তান থেকে টাকা না পেলে এর শীর্ষ কর্মকর্তারা নিজেদের জমি বিক্রি করে বাকিদের টাকা দিয়েছিলেন।
এই সংগঠনের সন্ত্রাসীদের অর্থ প্রদানের দুটি উপায় রয়েছে। এর সঙ্গে কাজ করা সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি মাসে বেতন দেওয়া হয় এবং এর সঙ্গে যুক্ত গুপ্তচররা তাদের কাজ অনুসারে বেতন পান। এই সংগঠন প্রায়ই হিন্দু, পর্যটক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপরই আক্রমণ চালায়।
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।