lifestyle

ত্রিফলা উপকারী হলেও কিছু জটিল অসুখে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকারক হতে পারে!

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয় ত্রিফলার রয়েছে হাজার গুণ

ত্রিফলায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি শরীরে নানা সমস্যায় যাদুর মতো কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে আমলকী, হরিতকি ও বয়রা। আয়ুর্বেদের মতে, এই প্রতিটি ফলের মধ্যেই হয়েছে আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ।

এটি বাজারে পাউডার, ক্যাপসুল, জুস আকারে পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, এই আয়ুর্বেদিক ভেষজটি ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে কিছু কিছু রোগীদের এটি খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাদের ত্রিফলা সেবন না করাই উচিত। তাদের সকলকে সতর্ক করতেই আজকের প্রতিবেদনটি।

​আয়ুর্বেদে ত্রিফলাকে ত্রিদোষ বলা হয়:

লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ Luke Coutinho বলেছেন যে, ত্রিফলাকে ত্রিদোষ বলা হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয় ত্রিফলার রয়েছে হাজার গুণ। এটি আট থেকে আশি সকলেই সেবন করতে পারেন। ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ত্রিফলা পেটের সমস্যায় সমাধান করতে সক্ষম। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দিতেও ভীষণ উপকারী। ত্রিফলার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি পেশির জোর বাড়াতে এবং হাড়কে মজবুত করতেও বেশ উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি হিতের বিপরীত হতে পারে, সেগুলি দেখে নিন:

View this post on Instagram

A post shared by Detox Power (@detoxpowerbr)

গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর:

লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের ত্রিফলা খাওয়া একদমই উচিত নয়। ত্রিফলার মধ্যে যে হরিতকি রয়েছে তা গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তবে এর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, অনেকে বলেন এটি খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে, তারও কোনও বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ডায়রিয়ার রোগীদের জন্য ক্ষতিকর:

এই আয়ুর্বেদ ওষুধটি প্রাকৃতিকভাবে রেচক। তাই ডায়ারিয়া হলে কখনই এটি খাবেন না। লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি খালি পেটে খেলে ডায়রিয়া, ক্র্যাম্প এবং বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল প্রভাব তৈরি করতে পারে। তাই বলা হয় যে, ​ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা ত্রিফলা থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

এছাড়াও যাদের খাওয়া উচিত নয়:

লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের জিন মিউটেশনের সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই সেবন করবেন। নিজে ডাক্তারি করতে যাবেন না।

গ্যাস, ডায়রিয়ার মতো কিছু সমস্যা থাকলে ত্রিফলা খাওয়া যেতে পারে, তবে এটি শরীরকে ডিটক্সিফাইড করে দিতে পারে। তাই এই সময় কখনই ব্যবহার করবেন না। সবচেয়ে ভালো উপায় একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই সেবন করুন।

কেমন করে সেবন করবেন?

লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্রিফলা সাধারনত পাউডার, জুস, ক্যাপসুল, ট্যাবলেটের আকারে খাওয়া যেতে পারে। ভেষজগুলি ভালোভাবে শোষণের জন্য সর্বদা খালি পেটে খাওয়া উচিত। গরম জলে ত্রিফলা পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন, হজম ভালো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button