Politics

CV Ananda Bose: বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সংশোধনী বিল, এবার কী অনুমোদন পাওয়া যাবে রাজ্যপালের কাছ থেকে?

CV Ananda Bose: গতকালই বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল এই বিলটি

 

হাইলাইটস:

  • রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সংশোধনী বিল
  • বিধানসভায় বিলটি পেশ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
  • তবে এই বিলে রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়া যাবে কী না এটাই এখন আলোচনার বিষয়

CV Ananda Bose: গত মে মাসে অর্ডিন্যান্স হয়েছিল। এবং রাজ্যপালও সেই অর্ডিন্যান্সের অনুমোদন দিয়েছিলেন। তবে এবার সংশোধনী বিবে তিনি অনুমোদন দেবেন কী না এই নিয়ে শুরু হয়েছে সংশয়। বিধানসভায় এই বিল পাশ হলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্যপালকে আবেদন করবেন যাতে তিনি এই বিলের অনুমোদন না দেন।

এই কারণে গতকালই বিজেপি বিধায়করা সাক্ষাৎও করেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে এই নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কীভাবে উপাচার্য নিয়োগ হয়, সেটা আপনারা দেখুন ভালো করে। ইউজিসির যে আইন রয়েছে, সেই আইন অনুযায়ী আমরাই কিন্তু সার্চ কমিটি গঠন করেছি।” মূলত বলা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটির আইনেও বেশ কিছু বদল আনা হল।

এর পাশাপাশি উপাচার্য পদে অধিষ্ঠিত হতে গেলে ন্যূনতম ৫ বছরের বদলে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, এদিন সংশোধনী বিলে এটিও আনা হয়েছে। বিশেষত সার্চ কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোট এবং সেনেট-এর মনোনীত প্রতিনিধিদের নামের তালিকা বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে যাতে রাজ্যপালের মনোনীত প্রতিনিধি, মুখ্যমন্ত্রীর মনোনীত প্রতিনিধি, রাজ্য সরকারের মনোনীত প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা সংসদের মনোনীত প্রতিনিধি এবং ইউজিসির চেয়ারপার্সনের মনোনীত প্রতিনিধি থাকতে পারেন।

এদিন বিধানসভায় এই বিলটি গত মে মাসের অর্ডিন্যান্স আকারেই পেশ করেছিল রাজ্য। যাতে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে বিল পেশের সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, কয়েক মাস আগেই ইউজিসির চেয়ারপার্সনকে তাঁর মনোনীত প্রতিনিধিদের নামের তালিকা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল রাজ্যের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জন্য। তবে এখনও পর্যন্ত ইউজিসি তরফে কোনও নাম পাঠানো হয়নি। এমনকি রাজ্যপালের কাছেও মনোনীত প্রতিনিধির নাম চাওয়া হলে তিনিও তা পাঠাননি। এবার দেখার বিষয় উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সংশোধনী বিলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে রাজ্যপালের কাছ থেকে কোনও সবুজ সংকেত পাওয়া যায় কী না।

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button