Summer Health Tips: গরমকালে ক্লান্তির হাত থেকে বাঁচতে এই আয়ুর্বেদিক পানীয়টির উপর ভরসা করতে পারেন

গরমকালের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ডিহাইড্রেশন

হাইলাইটস:

•খুস কী?

•খুসের পানীয়টি কীভাবে বানাবেন

•খুসের উপকারীগুলি কী কী?

Summer Health Tips: গরমকালে তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে প্রত্যেকে ঠান্ডা সরবত এবং নরম পানীয়ের উপরই ভরসা দেখান। কিন্তু এই অতিরিক্ত রঙ, চিনি মেশানো শরবত পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক হতে পারে। ফলে এই সব পানীয় খেলে সমস্যা বাড়ে বৈকি কমে না। গরমকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ে না। ফলে এই সময় বেশি করে জল পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই শরীরকে হাইড্রেট রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা জরুরি হয়ে পড়ে। তবে তার সাথে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয়ও রয়েছে তালিকায়। এগুলি শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, শরীরকেও পুষ্টি জোগায় (Summer Health Tips)। গরমকালে খুসের মূল থেকে তৈরি পানীয় শরীরে শীতলতা এনে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শিকড়গুলি খুব সুগন্ধি এবং শীতল।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রেখা রাধামণিতাঁর গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে তাঁর ইনস্টাগ্রামে এক জাদুকরী মূলের উপকারিতা শেয়ার করেছেন। এই উপকারী মূলের নাম ‘ভেটিভার’ বা ‘খুস’। হিন্দিতে যা খসখস, বাংলায় তা খুস। ভিডিও-তে খুস সম্পর্কে জানিয়েছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ। দেখে নিন সেটি –

ভেটিভার বা খুস কী?​

এটি একটি মূলের নাম। খুস ভারতের অধিবাসী। বৈজ্ঞানিকভাবে Vetiveria zizanioides নামে পরিচিত যা ঘাসের তামিল নাম থেকে এসেছে, খুস Poaceae পরিবারের অন্তর্গত। এর সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘ পরিচয়। অতীতে সরকারি দফতরগুলিতে গরমের তাপ কমাতে লাগানো হত এই ঘাসের পর্দা। এর মধ্যে জল ছিটিয়ে দিলে অদ্ভুত সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়তো। এর থেকে সুগন্ধী তেলও তৈরি হয়। এর থেকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ, নানা হস্তশিল্পও তৈরি হয়। তাছাড়া শরবত ছাড়াও তামাক, পান মশলা সাবান, সুগন্ধি এবং প্রসাধনী তৈরিতেও খুস ব্যবহৃত হয়। খুসের শিকড় সবচেয়ে মূল্যবান, কারণ এর শিকড়ে ১৫০টি সুগন্ধি অণু থাকে।

খুস দিয়ে তৈরি পানীয় কীভাবে প্রস্তুত করবেন?

•প্রথমে খুসের শিকড় ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

•তারপর এটি মোটামুটি তিনদিন পানীয় জলে ভিজিয়ে রাখুন।

•এবার এই জলটি ফিল্টার করে পান করুন। আপনার গরমের ক্লান্তি দূর করতে শীতল পানীয় প্রস্তুত।

অন্যদিকে খুসের শিকড় একটি পানীয় তৈরি করতে অন্তত তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে। বোতল থেকে বের করে কিছুক্ষণ রোদে রেখে আবার পানীয় তৈরি জন্য ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু এটি একটি আয়ুর্বেদিক পানীয়, তাই এটি খাওয়ার আগে সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। আবার বাজারে যে শরবত পাওয়া যায় তা দিয়েও খুস শরবত তৈরি করা যায়। খুসের শিকড় শীতল হওয়া ছাড়াও হজমশক্তি বাড়াতে, জ্বর, তৃষ্ণা, জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি রক্ত পরিশোধকেরও কাজ করে। এছাড়া এটি প্রস্রাব ধরে রাখতেও সহায়ক।

খুসের উপকারিতাগুলি হল: 

•খুস ভিটামিনের পাশাপাশি আয়রন, ম্যাঙ্গানিজেরও একটি চমৎকার উৎস। এর পুষ্টিগুনগুলি রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

•গরমকালে অতিরিক্ত ঘামের কারণে যদি আপনার শরীরে দুর্গন্ধ হয়, তাহলে এর শিকড়ে দিয়ে তৈরি জল ফুটিয়ে স্নানের জলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

•পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার তাগিদ খুস শরবত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রচন্ড গরমে, খুস অত্যধিক তৃষ্ণার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে নিয়ে আসে।

•খুস হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস। ফলে এই শরবত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।

•PCOD-এর মতো হরমোনজনিত রোগের জন্য এটি একটি ভালো চিকিৎসা।

•এই মূল ইউটিআই এবং জ্বর দূর করতেও সহায়ক।

•অন্যদিকে খুস জিঙ্ক সমৃদ্ধ। ফলে এটি চোখের অ্যালার্জি এবং এর সাথে সম্পর্কিত প্রভাবগুলি নিরাময় করতে সাহায্য করে।

•এছাড়াও খুস ব্যথা উপশম করে, কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করে, বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে, স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘুমের ব্যাধিগুলিরও চিকিৎসা করে।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.