Abhishek Banerjee on Mahua Moitra: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ অনুমোদন দিল এথিক্স কমিটি
হাইলাইটস:
- মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে গত সপ্তাহে এথিক্স কমিটিতে শুনানি হয়
- তবে মাঝপথেই তাঁকে অপ্রীতিকর প্রশ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে শুনানি থেকে বেরিয়ে আসেন মহুয়া
- বৃহস্পতিবার মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশে অনুমোদন দিল লোকসভার এথিক্স কমিটি
Abhishek Banerjee on Mahua Moitra: বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে বিতর্কের মুখে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ইতিমধ্যেই মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ অনুমোদন করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। তবে শুরু থেকেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে কার্যত চুুপ ছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকী বিরোধী দলগুলি পাশে দাঁড়ালেও তৃণমূল সুপ্রিমো বা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে এ বিষয়ে একটিও শব্দ খরচ করতে শোনা যায়নি। অবশেষে মহুয়া-বিতর্কে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে অভিষেককে তলব করা হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পর সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। মহুয়া সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে, এথিক্স কমিটির ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের দাবি, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে এথিক্স কমিটি এতটা তৎপরতা দেখায় না, যতটা মহুয়াকে নিয়ে তৎপর তারা।
এথিক্স কমিটি মহুয়াকে নিয়ে খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছে এথিক্স কমিটি। কেন এত দ্রুত সুপারিশ করা হল? তা নিয়েই প্রশ্ন অভিষেকের। দিনকয়েক আগেই বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরির বিরুদ্ধে লোকসভার অন্দরে কু কথা বলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, “এমন অনেক অভিযোগ বিজেপির সাংসদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এথিক্স কমিটিতে সেগুলির শুনানি হয় না। আর যদি কেউ সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে চায়, আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কীভাবে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে সরানো যায়, সেই চেষ্টা করা হয়।” তিনি আরও বলেন, ‘মহুয়া মৈত্র যথেষ্ট যোগ্য। উনি নিজের লড়াই নিজেই লড়তে পারেন।’ পুরো বিষয়টাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই মনে করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অভিষেক কার্যত মহুয়ার পাশে দাঁড়ালেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
রাজ্য রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।