Arranged Marriage Tips: এই ৫টি গুণসম্পন্ন মহিলারাই জীবনসঙ্গী হিসেবে আদর্শ, তবে দেখে নিন গুনগুলি কী কী?

Arranged Marriage Tips: সম্বন্ধ করে বিয়ে করলে একটু বুঝে শুনেই বিয়ে করা জরুরি

হাইলাইটস:

• বিয়ে হল সাত জন্মের বন্ধন

• ফলে সম্বন্ধ করে বিয়ে করলে তাড়াহুড়ো না করার ভালো

• সম্বন্ধ করে বিয়ের জন্য এই ৫টি গুণসম্পন্ন মহিলারাই আদর্শ

Arranged Marriage Tips: ‘বিয়ে’ শুধুমাত্র একটি কথা না এই কথাটির অর্থ হল অনেক বেশি দায়িত্ব। শুধু তাই নয়, সাত জন্মের বন্ধন হল বিয়ে। এই পবিত্র বন্ধনে সারাজীবন একসাথে কাটিয়ে দেওয়ার শপথ নেন দম্পতীরা। এটাই হল বিয়ের প্রধান শর্ত বা নিয়ম। তবে আপনার যদি সম্বন্ধ করে বিয়ে করার পরিকল্পনা থাকে তবে একদমই তাড়াহুড়ো করতে যাবেন না। কারণ সম্বন্ধ করে বিয়ে করলে একটু বুঝে শুনেই বিয়ে করা জরুরি। খানিকের ভুল কিন্তু সারাজীবন বইতে হতে পারে। পুরুষ মনে নিজের ভাবী জীবনসঙ্গীকে নিয়ে একাধিক আশঙ্কা তৈরি হয়। এইসব আশঙ্কা দূর করার জন্যই আজ আমরা আপনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছি। দেখে নিন কেমন মহিলারাকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেওয়া উচিত –

১. বুদ্ধিমতী:

এখনকার উন্নত সমাজে বুদ্ধি না থাকলে সমাজে চলা মুশকিল। কারণ মানুষ বলে বলে ঠকাবে। তাই আপনাকে এমন একজন জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে হবে যিনি আদতে বুদ্ধিমতী। অর্থাৎ সংসারে যাই ঝড়-ঝাপ্টা আসুন না কেন তিনি নিজেই বুদ্ধি দিয়ে সংসারকে রক্ষা করে নেবেন। একটি মাথা মাথায় রাখবেন, এমন গুণবতী মহিলার সঙ্গে নিশ্চিন্তে জীবন কাটানো সম্ভব। ফলে আপনি যদি এমন কোনও বুদ্ধিমতী মহিলার সন্ধান পান আর দেরি কীসের, পাকা কথা সেরে ফেলুন।

২. মিষ্টি হাসি:

এখনকার দিনেও অনেকেই মনে করেন, গম্ভীর ভাবমূর্তি বজায় রাখা মহিলারাই নাকি সংসারের হাল শক্ত হাতে ধরে রাখতে বেশি পারদর্শী। তবে একথার কোনও যুক্তি নেই। কারণ মনোবিজ্ঞান যে অন্য কথা বলে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, হাসিখুশি মহিলাদের মন স্বচ্ছ কাচের মতো পরিষ্কার হয়। তারা সবসময় একটা পজিটিভ এনার্জি নিয়ে চলে। ফলে তারা যে পরিবারে আসে সেই পরিবারেই তাদের রঙ ঢেলে দেয়। যার জন্য পরিবারও হাসিখুশি থাকে এবং সবসময় পজিটিভ এনার্জি থাকে পরিবারে। এইরকম মহিলার সাথে আপনি সারাজীবন অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারবেন। তাই আপনার যদি এইরকম কোনও মহিলার সাথে পরিচয় থাকে, তবে লজ্জা না করে সরাসরি কথা বলুন।

৩. ঘরের কাজে ​নিপুণা:

প্রথমেই বলি, ঘরের সমস্ত কাজই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই জানা উচিত। কারণ কাজ, কাজই হয়। এতে লিঙ্গ ভেদ হওয়ার কোনও দরকার পড়ে না। কিন্তু এখনকার উন্নত সমাজে প্রতিটি মহিলাই নিজের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। ঘরের কাজের জন্য তারা সময় বের করতে পারেন না। ফলে এই যুগে দাঁড়িয়েও যদি কোনও মহিলা ঘরের কাজে ​নিপুণা হন, তবে বিশ্বাস করুন উনি আপনার জন্য আদর্শ পাত্রী। তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘরের লক্ষ্মীকে ঘরে আনুন।

৪. গুরুজনদের সম্মান দিতে পারদর্শী:

আমরা ভারতীয়, আর ভারতীয় সংস্কৃতিতে গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা একটি প্রধান রীতি। তবে পাশ্চাত্য চিন্তাভাবনার প্রসারের ফলে এই ধারণাও এখনকার দিনের ছেলেমেয়েরা ভুলতে বসেছে। ফলে দেখা পর বিয়ের পর এইরকম মহিলারাই তাদের শ্বশুর এবং শাশুড়িকে ন্যূনতম সম্মানটুকুও দেন না। যা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। আমাদের সংস্কৃতি যদি আমরাই ভুলে যাই, তবে ক্ষতিটা যে আমাদেরই হবে। ফলে এ যুগে দাঁড়িয়েও যদি কোনও মহিলা তাঁর সংস্কৃতি না ভুলে গুরুজনদের প্রতি সম্মান দেখান, তবে তাঁর চেয়ে আদৰ্শ জীবনসঙ্গী পাওয়া মুশকিল।

​৫. মন ভালো যার, সব ভালো তার​:

আমরা সকলেই চান আমাদের জীবনসঙ্গী যেন একজন ভালো মনের মানুষ হন। কারণ এই মিথ্যে কথার শহরে ভালো মানুষের বড়ই অভাব। কিন্তু আপনি যদি এমন একজন ভালো মনের মানুষ পেয়ে যান তবে আপনি হলেন একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি। ফলে আর সময় নষ্ট না করে বিয়ের প্রস্তাবটি দিয়েই ফেলুন। কারণ আমাদের বিশ্বাস, এইরকম মানুষকে বিয়ে করলে আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুখের হবে।

এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.