সুখী দাম্পত্য জীবনের সাতটি প্রধান রহস্য জেনে নিন

একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের আশাতে আমরা প্রত্যেকেই থাকি

যখন কোনও দম্পতি গাঁটছড়া বাঁধেন এবং প্রেমে মাতাল হন, তখন এটা মনে করা হয় যে প্রেম এবং যৌন আবেগই হল একটি সফল বিবাহের মূল উপাদান। কিন্তু একবার গোলাপ ফুলে গেলে, আপনি বুঝতে পারবেন যে একটি সফল বিয়ে করা তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল। বিয়ের পরে যত দিন গড়াতে থাকে, সম্পর্ক তত একঘেয়ে হতে থাকে। বাড়তে থাকে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ততা। একসময় সম্পর্কটি শুধুমাত্র অভ্যাসে পরিণত হয়, ভালোবাসা থাকে না সেই ভাবে। একটি সফল বিবাহের সর্বোত্তম উপায় হল দীর্ঘমেয়াদী বিবাহের গোপনীয়তাগুলি বোঝা। আপনার বিবাহকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য এখানে ৭টি রহস্যের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জেনে নিন সেগুলি-

১. যোগাযোগের চাবিকাঠি:

দম্পতিদের একে অপরের সাথে অনুভূতি ভাগ করে নিতে, কঠিন বিষয় সম্পর্কে কথা বলতে এবং একে অপরের সাথে সুশীল থাকতে সক্ষম হতে হবে। সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই সময়ে সেটা আরও বেশি দরকার। সেই সঙ্গে দরকার আপনি যে সঙ্গীর প্রতি মনোযোগী, সেটা বোঝানো। সে জন্য দুজনে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা কথা বলুন মুখোমুখি বসে। সময়টাতে দুজনেই অখণ্ড মনোযোগ দিন পরস্পরকে।

২. ঝগড়া থেকে বিরতি নিন:

সম্পর্কে মতানৈক্য হবেই। তা থেকে মাঝেমধ্যে উত্তাপও ছড়াবে। কিন্তু কুৎসিত ঝগড়ায় পরিণত হওয়ার আগেই বিরতি নিন। না, আচমকা কথা বন্ধ করে চলে যাবেন না। তাতে মনে হবে, আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন। বরং সঙ্গীকে জানিয়ে দিন, বিরতির পরে আবার এ নিয়ে কথা বলবেন। পরে দুজনেই মাথা ঠাণ্ডা করে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করুন।

৩. উত্থান-পতন আছে তা স্বীকার করুন:

সম্পর্কে উত্থান-পতন থাকবেই। সব সময় খুশি থাকবেন অথবা সব সময় দুঃখ নিয়ে থাকবেন না নয়। বিবাহ জীবনকে দীর্ঘমেয়াদী করে তুলতে সম্পর্কে উত্থান-পতন হবে এবং আপনাকে সেটি স্বীকার করতে হবে। এটা ভাবা অবাস্তব যে, আপনি সম্পর্কের মধ্যে সব সময় সংযুক্ত এবং সুখী বোধ করবেন।

৪. নিজের সীমাবদ্ধতার তালিকা তৈরি করুন:

মানুষ মাত্ররই সীমাবদ্ধতা থাকবে। আপনি বা আপনার সঙ্গীও তার ব্যতিক্রম নন। দুজনে একত্রে বসে পরস্পরের সীমাবদ্ধতার তালিকা করুন। কার কোন স্বভাব অপরজনকে বিরক্ত করে, রাগিয়ে তোলে তা নিয়ে আলোচনা করে তালিকা তৈরি করুন। যখনই কেউ কিছু করবেন, অন্যজন সেটি ধরিয়ে দিন। এভাবে পরস্পরকে সাহায্য করুন নিজেকে শোধরাতে।

৫. অস্বস্তিকর সময়ে সংযুক্ত থাকুন:

অস্বস্তিকর সময়ে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন এবং কঠিন সময়ে বিবাহবিচ্ছেদের হুমকি দেবেন না। লক্ষ্য হল কঠিন সময়গুলি অতিক্রম করা, এটা জেনে যে আপনারা দুজন আবার সংযোগ করবেন। দীর্ঘ ইতিহাসের এক টুকরো দিয়ে নয় বরং এর সামগ্রিকতার দ্বারা আপনার বিবাহকে বিচার করুন।

৬. নিজের দিক থেকে সম্পর্কের সেরাটি করুন:

আপনি যদি আপনার নিজের ব্যক্তিগত বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেন তবে আপনি একজন ব্যক্তি হিসাবে আরও পরিপূর্ণ এবং অংশীদার হিসাবে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন। এর ফলে আপনি খুশিও থাকবেন। এছাড়াও আপনি সম্পর্ক এবং আপনার সঙ্গীর উপর কম চাপ দেবেন যাতে আপনি নিজেকে বা উদ্দেশ্যের অনুভূতি প্রদান করেন।

৭. সম্পর্কে আপস করা:

আপস করা বা ইংরেজিতে যাকে বলে “কম্প্রোমাইজ” সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর অর্থ অপরিসীম। কারণ কম্প্রোমাইজ ছাড়া ভালোবাসার সম্পর্ক টেকানো মুশকিল। এক জীবনে মানুষ সব কিছু পায় না। যা পায় তাই নিয়ে সুখে থাকতে হয়। দাম্পত্য জীবনে আপনি আপনার সঙ্গীর চাহিদা পূরণ করতে এবং একটি মধ্যম স্থলে মীমাংসা করতে বা তাদের অনুরোধগুলি মিটমাট করতে সক্ষম হন, ঠিক যতবার আপনি আপনার নিজের প্রয়োজনগুলি পূরণের জন্য লড়াই করতে ইচ্ছুক।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.