যকৃতে মেদ জমে সিরোসিস রোগ হওয়ার ৩টি কারণ জেনে নিন

Fatty liver

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ একটি সংঘাতিক সমস্যা

এখনকার দিনে বহু মানুষ ফ্যাটি লিভার সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু এই অসুখ নিয়ে তেমন একটা সচেতনতা লক্ষ্য করা যায় না। এই কারণে সমস্যা খুবই গুরুতর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ফ্যাটি লিভার অসুখটির সঠিক কারণ জানতে পারলে রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব।

দেখা যায় বহু মানুষের যকৃতে মেদ জমে। এই কারণে অঙ্গটি নিজের কাজ করতে পারে না। এবার এই মেদ জমার ক্ষেত্রে প্রথমে কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়। এটি নিজের মতো করে শরীরে সমস্যা তৈরি করে। প্রথমে বাড়াবাড়ি না হলেও পরে হতে পারে নানা জটিলতা। এক্ষেত্রে যকৃতে প্রদাহ হয়। সেই প্রদাহ থেকে হতে পারে সিরোসিস অব লিভার। এই রোগটি কিন্তু প্রাণ কেড়ে নেয়।

যকৃতে মেদ জমার কারণগুলি হল:

১. খারাপ জীবনযাত্রা: এখনকার দিনে অনেকেই ঠিকমতো ঘুমাতে চান না। এর থেকে সমস্যা তৈরি হয়। কিছু মানুষ ব্যায়াম করেন না, সারাদিন শুয়ে বসে কাটান। এবার এই জিনিসগুলি সরাসরি শরীরে প্রভাব ফেলে। এই কারণে হতে পারে ফ্যাটি লিভার ডিজিজও। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।

​২. ফাস্ট ফুড ও কোল্ড ড্রিংকস খেলে: আমরা সকলেই ফাস্ট ফুড খেতে ভালোবাসি। এবার ফাস্ট ফুড খেলে শরীরে ঢুকে যায় নানা ক্ষতিকর পদার্থ। এরমধ্যে এমন তেল বা অন্যান্য পদার্থ থাকে যা শরীরে বাড়ায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাটের মতো ক্ষতিকারক জিনিস। তাই এই খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন। অন্যদিকে সারা বছর মানুষ কোল্ড ড্রিংকস খান। এই পানীয় মানুষের আজীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। তবে মাথায় রাখতে হবে যে, এটা হল হাই ক্যালোরি ড্রিংকস। তাই শরীরকে অসুস্থ করে দিতে পারে এই পানীয়। এছাড়া এর মধ্যে থাকে ফ্রুকটোজ। এই ফ্রুকটোজ কিন্তু শরীরে গিয়ে ফ্যাটে পরিণত হয়। এর থেকে হতে পারে ফ্যাটি লিভার। তাই যকৃতের অসুখ থেকে বাঁচতে চাইলে এই পানীয় থেকে দূরে থাকুন।

৩. মদ্যপান: ফ্যাটি লিভার হল এক গুরুতর অসুখ। এই অসুখের কারণ হিসাবে উঠে আসে মদ্যপানের কথা। মদ সরাসরি লিভারে ফ্যাট জমার জন্য দায়ী। তাই প্রতিটি মানুষকে বলা হয় মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে। এক্ষেত্রে মদ খেয়ে লিভারে ফ্যাট জমলে বলা হয় অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। এবার এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।

Sanjana Chakraborty

My name is Sanjana Chakraborty. I'm a content writer. Writing is my passion. I studied literature, so I love writing.

Leave a Reply

Your email address will not be published.