ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা চিনির বিকল্প হিসাবে কী মধু বেছে নিতে পারেন?

এখনকার দিনে প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত

বর্তমানে কিডনির সমস্যায় ভোগেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। ফলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হলে অনেক কিছু জীবন থেকে দূর করতে হয়। তবেই রোগ থাকে নিয়ন্ত্রণে। সর্বপ্রথম জীবন থেকে দূরে চলে যায় চিনি। প্রশ্ন হল এখানে যে, ডায়াবেটিস রোগীরা কী চিনির বিকল্প হিসাবে মধু বেছে নিতে পারেন?

এই ভয়াবহ রোগে ইনসুলিন হরমোন কাজ করতে পারে না বা পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এখনও অনেকে রয়েছেন যারা জানেনই না যে, তাদের ভিতরে বাসা বেঁধেছে ব্লাড সুগার। আপনাকে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কিছু খাবার থেকে দূরে থাকা দরকার। এবং ডায়াবেটিস রোগটির লক্ষণ সম্পর্কে প্রথমেই জানতে হবে। তবেই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। এছাড়াও কিছু নিয়ম তো মানতেই হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপগুলি নেওয়া উচিত।

আপনাকে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। চিনির পাশাপাশি ভাত, রুটি খাওয়ার পরিমানও কমাতে হবে। এই খাবার কমাতে পারলেই আপনার সমস্যা অনেকটা সমাধান হতে পারে। এছাড়া প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। তবেই এই মারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

মধু কী চিনির বিকল্প হতে পারে?

মধু খুবই উপকারী খাবার, তবে চিনির বিকল্প একেবারেই না। সুগার রোগীর জন্য চিনি যেমন খারাপ মধুও তেমনই খারাপ। কারণ মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন মধু খাওয়া উচিত না। মধু খেলে দ্রুত রক্তে সুগার বেড়ে যায়। আর তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পরে এবং হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

তাহলে চিনির বিকল্প কী?

চিনির বিকল্প হিসাবে মধু বেছে নেওয়া যাবে না। বরং কৃত্রিম সুগার খেতে পারেন। তবে সব ধরনের সুগারের মধ্যে স্টিভিয়া খাওয়া ভালো। কারণ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। কিন্তু এই খাবারও বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। এর থেকে সমস্যা তৈরি হতে পারে, যেমন গ্যাস বা পেটের নানা সমস্যা।

​মধুর উপকারী গুন:

চিনির থেকে মধুর পুষ্টিগুণ বেশি। তাই কোনও সুস্থ ব্যক্তি এই খাবার অবশ্যই খেতে পারেন। তবে মাথায় রাখতে হবে যে, সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলে তবেই আপনি খেতে পারেন এই খাবার। মধুতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আরও রয়েছে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন C, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এই প্রতিটি উপাদানই শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। আবার মধু সহজে ক্ষতও সারাতে পারে। এমনকী পেটে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে পারে। তাই কোনও সুস্থ মানুষ অনায়াসে মধু খেতে পারেন। সুস্থ মানুষ মধু খেলে কোনও চিন্তা নেই।

Sanjana Chakraborty

My name is Sanjana Chakraborty. I'm a content writer. Writing is my passion. I studied literature, so I love writing.

Leave a Reply

Your email address will not be published.