আপনি কী প্রথমবার মা হয়েছেন? প্রথমবার মা হলে যে বিষয়গুলি আপনার জেনে রাখা উচিত, সেগুলিই এখানে বলা হয়েছে

মা ও সন্তানের সম্পর্ক হল পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পর্ক

মা হওয়ার কোনও মেয়ের জন্যই সহজ নয়। একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হন, তখন তাকে অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মা হওয়ার পরও অনেকদিন ধরে চলতে থাকে কষ্টের প্রক্রিয়া। একজন নারীর শুধু অনেক শারীরিক সমস্যাই নয়, সেই সঙ্গে সন্তানের দায়িত্ব, রাতে ঘুম না হওয়া ইত্যাদি কারণেও সে তার মানসিক স্বভাবে রাগান্বিত ও খিটখিটে হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যে সব নারীরা প্রথমবার মা হয়েছেন, তাদের আগে এই বিষয়ে কোনও অভিজ্ঞতা নেই, তাই তাদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। সব নতুন মা-ই কম-বেশি চিন্তিত থাকেন৷ সময়ের সঙ্গে যত অভিজ্ঞতা বাড়ে, তত এই টেনশন কমে৷ ফলে সদ্য মা হওয়া মহিলাদের জন্য আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে এসেছি। ঝটপট দেখে নিন –

বাচ্চা কাঁদলে ভয় পাবেন না:

কান্না হল বাচ্চাদের মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম৷ কারণ তারা ছোট, কথা বলতে পারে না। তাই কিছু বোঝাতে যেমন- তার খিদে পেলে বা কোথাও ব্যথা হলে বা ঘুম ঠিক মতো না হলে সে কান্নার মাধ্যমেই বোঝাবে তার মাকে। কিন্তু যদি আপনি প্রথমবার মা হন তবে এই বিষয়গুলি আপনার অজানা। বাচ্চারা একমাত্র তার মায়ের কথাই শোনে এবং বুঝতে পারে। তাই যদি হঠাৎ হঠাৎ বাচ্চা কেঁদে উঠে তাহলে বুঝবে তার কিছু একটা অসুবিধা হয়েছে। তখন ভয় না পেয়ে বাচ্চাকে আদর করুন এবং বেশি করে কথা বলুন। তাতেও কাজ না হলে বাড়িতে থাকা কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিন।

বাচ্চা উপুড় হলে ভয় পাবেন না:

উপুড় হওয়া হল ঘাড় ও পিঠের পেশি সবল করার একটি ব্যায়াম, যা শরীরের নড়াচড়া ও শক্তি বৃদ্ধিতে কাজে লাগে৷ তাই যখন থেকে সে করতে শুরু করবে, করতে দিন৷ প্রথমদিকে দু-এক মিনিটের বেশি করতে পারবে না৷ তারপর দেখবেন ধীরে ধীরে ১০-১৫ মিনিটও উলটো হয়ে থাকতে পারবে৷ কখনও আবার আপনি নিজেও উলটে দিতে পারেন৷ এতে আরও একটা উপকার হয়, বাচ্চার মাথার পিছন দিকের শেপ ঠিক থাকে৷ চ্যাপটা হয়ে যায় না৷

অযথা খেলনা কিনতে যাবেন না:

অনেকে আবার সন্তান পৃথিবীতে আসার আগে থেকে খেলনা কিনতে শুরু করে দেন। আর বাচ্চা জন্মানোর পরই ঘর ভর্তি খেলনাতে ভরিয়ে দেয়৷ সে এখন খুবই ছোট, খেলনা নিয়ে খেলতেও পারবে না আর ঠিক করে বুঝতেও পারবে না। তাই অযথা খেলনা কিনতে যাবেন না। খেলনার বদলে বাচ্চার দরকারি জিনিসপত্র কিনে আনুন।

নবজাতককে বাড়ির বাইরে বেশি বের করবেন না:

আপনার সন্তানকে যতটা পারবেন বাড়ির মধ্যেই রাখার চেষ্টা করুন। কারণ বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পূর্ণতা পেতে কিছুটা সময় লাগে। এই অবস্থায় বাইরের আবহাওয়ার সাথে তারা মিশতে পারবে না, ফলে তাদের সংক্রমণ হতে পারে। তাই তাদের এক-দু বছর বাড়ির ভিতরেই রাখার চেষ্টা করুন। আপনারাও পারলে এই এক-দু বছর বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে নিজেদের দূরে রাখুন। কারণ সন্তানকে বাড়িতে রেখে ঘুরতে গিয়ে সেখানে আপনাদেরও মন বসবে না।

নিজেরও যত্ন নেওয়া উচিত:

একজন মা সবার প্রথমে ভাবেন তার সন্তানের কথা। সন্তান আসার পর সেই হয় তার ধ্যান-জ্ঞান। ফলে নিজের যত্ন নেওয়া আর হয়ে উঠে না। সন্তানের এতো বেশি করে খেয়াল রাখতে হয় যে, মা-রা নিজেদের কথা ভুলেই যান একেবারেই। ফলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়। আবার অনেক বাচ্চাই আছে যারা রাত্রিবেলা ঘুমাতে দেয়না। ফলে মায়েরও ভালো করে ঘুম হয়না, ঠিক করে খাওয়া হয় না, শান্ত মাথায় বসার সময় হয়না। এতে মা-য়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই আমরা বলবো, সন্তানের পাশাপাশি নিজেরও যত্ন নেওয়া উচিত।

Sanjana Chakraborty

My name is Sanjana Chakraborty. I'm a content writer. Writing is my passion. I studied literature, so I love writing.

Leave a Reply

Your email address will not be published.