এই গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এই ৪টি চাটনির কথা জেনে রাখুন

চাটনি পুষ্টিগুনে ভরপুর

হাইলাইটস:

•বাঙালিয়ানা খাবার চাটনি ছাড়া চলে না

•গরমকালে চাটনি শরীরকে ঠান্ডা রাখে

•আবার অন্যদিকে চাটনি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

চাটনির নাম শুনলেই সকলের জিভে জল চলে আসে। চাটনি খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা কম। বিশেষ করে বাঙালি বাড়িতে শেষপাতে চাটনি খাওয়া অভ্যাস থাকে। শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়৷ চাটনির অনেক উপকারিতাও আছে৷ যে উপাদানে চাটনি তৈরী হয়, তা সাধারণত ফাইবারে ভরপুর৷ তাছাড়া এর সঙ্গে যোগ হয় বিশেষ মশলা৷ সব মিলিয়ে চাটনি সাহায্য করে পরিপাক ক্রিয়ায়৷ আবার চাটনি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। ফলে চাটনি খুব ভালো ডেটক্সের কাজ করে৷ এর ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক নানা উপাদান বেরিয়ে যায়৷ শরীরে ভিটামিন, মিনারেল এবং আয়রনের যোগান মেটাতে চাটনির জুড়ি মেলাভার।

আবার চাটনিতে টকজাতীয় উপাদান কিছু না কিছু থাকেই৷ ফলে তা ভিটামিন C-এর যোগান দেয়৷ শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে ভিটামিন C তথা চাটনি৷ লেবুর রস, কাঁচা আম, টমেটো, পেয়ারার মতো উপাদান চাটনিতে ভিটামিন C-এর উৎস৷ গ্রীষ্মের মরসুমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বাঙালি বাড়িতে চাটনিই দেখা যাবে। কারণ বাঙালিদের শেষপাতে চাটনি ছাড়া চলে না। এছাড়াও দক্ষিণী খাবারের সঙ্গে নারকেলের চাটনি খাওয়ার চল রয়েছে। উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও আচার-চাটনি খাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এখানে কিছু চাটনির কথা বলা হয়েছে যেগুলি আপনি বাড়িতে সহজেই তৈরি করতে পারবেন। দেখে নিন –

কাঁচা আমের চাটনি:

গরম কালে কাঁচা আমের চাটনি বা পাতলা আমের টক খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। বলা হয়, এই পাতলা টক খেলে সেভাবে গরম লাগে না। এই কারণেই টক ডাল বা আম ডাল খাওয়ারও চল রয়েছে বাঙালি বাড়িতে। এই চাটনিটি সহজেই তৈরি করা যায় এবং খেতেও সুস্বাদু। এর পাশাপাশি কাঁচা আমে থাকে ভিটামিন A, C এবং E। সেইসঙ্গে থাকে মিনারেলস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয় উপাদান।

নারকেলের চাটনি:

দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় খাবার ধোসা, ইডলি, উত্থপমের সঙ্গে সাম্বার এবং নারকেলের চাটনি ছাড়া দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের স্বাদ যেন ফিকে হয়ে যায়। নারকেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্রাইগ্লিসারাইড। এছাড়াও নারকেলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, সেলেনিয়াম ও ফসফরাস। তাই ভিটামিন সমৃদ্ধ না হলেও নারকেল পুষ্টিকর এবং তাই সহজভাবে প্রস্তুত করা যায় নারকেলের চাটনি। নারকেলের চাটনিতে ক্যালোরি কম থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। গরমকালে নারকেলের চাটনি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

তেঁতুলের চাটনি:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরকে সচল রাখতে যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন তার প্রায় বেশিরভাগই মজুত রয়েছে তেঁতুলে। যেমন ধরুন থিয়ামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন C, ভিটামিন B1, B2, B3 এবং B5, তার সাথে কপার, ফাইবার, পাইরোডক্সিন প্রভৃতি। আর এইসব উপাদানগুলি শরীরে প্রবেশ করার পর একাধিক রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেই না, সেই সঙ্গে নানাবিধ শারীরিক উপকারও পাওয়া যায়। ফলে বলা যায়, টক-ঝাল-মিষ্টি তেঁতুলের চাটনি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই প্রচুর গুণ সমৃদ্ধ। এছাড়াও তেঁতুলে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি উপাদান।

টমেটোর চাটনি:

টমেটো একটি ‘কল্পতরু’ সবজি। কাঁচা বা রান্না করা, জুস বা কেচাপ, মিষ্টি, টক বা নোনতা যে কোনও উপায়েই এটি খাওয়া যায়। রান্নায় স্বাদ এবং রং আনতে যেমন এর জুড়ি মেলা ভার, তেমনই এটি পুষ্টিকর। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন C, B, E এবং পটাসিয়াম। আর তার সঙ্গে রয়েছে লাইকোপেন। এটি শরীরের কোশকে যাবতীয় সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। তবে টমেটোর চাটনি বানালে চিনি না দেওয়ার চেষ্টা করুন। পরিবর্তে খেজুর, আমসত্ত্ব এসব দিন। এতে উপকারিতা বাড়বে। দিতে পারেন খেজুরের গুড়ও।

এইরকম আরও মূল্যবান রেসিপি পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

My name is Sanjana Chakraborty. I'm a content writer. Writing is my passion. I studied literature, so I love writing.

Leave a Reply

Your email address will not be published.