Sikkim Avalanche: সিকিমে ভয়াবহ তুষারপাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে বাংলার দুই পর্যটকের

এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, মৃত ৭

হাইলাইটস:

•পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গুতে তুষার ধস নেমেছে

•ফলে সেখানে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক

•সূত্রের খবর, মৃত ৭জনের মধ্যে ২জন বাঙালি পর্যটক

Sikkim Avalanche: এপ্রিল মাসে প্রবল তুষারপাত অতীতে কোনওদিন দেখেনি সিকিম। কিন্তু গতকাল প্রবল তুষারপাতের (Sikkim Avalanche) সাক্ষী থেকেছে আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ছাঙ্গু লেক যাওয়ার পথেই এই ভয়াবহ তুষারপাতের কবলে পড়েন পর্যটকরা। এমনকি ধসও নামে। ধসের নীচে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত ৭জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যার মধ্যে বাংলার দুই পর্যটকও আছেন। একজনের নাম প্রীতম মাইতি এবং অপরজনের নাম সৌরভ চৌধুরী। তার সাথে আহতের সংখ্যা অনেক। বহু মানুষ বরফের মধ্যে চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কাও রয়েছে। এখনও উদ্ধারকাজ চালাছেন এনডিআরএফের জওয়ানরা এবং সিকিম পুলিশ।

এমনকি গ্যাংটক নাথুলা রোডেও এই ধস নেমেছে বলে সূত্রের খবর। বহু পর্যটক সেই তুষারধসে আটকে পড়েছেন। মঙ্গলবার পর পর ২ বার ধস নেমেছে নাথুলা থেকে গ্যাংটক যাওয়ার রাস্তায়। তার জেরে প্রায় পর্যটকদের ৭-৮টি গাড়ি আটকে গিয়েছে। এখনও প্রবল তুষারপাত চলছে উত্তর সিকিম জুড়ে। সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতরও। আগামী তিন থেকে চারদিন সিকিমজুড়ে ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন করে ধস নামার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদের একাংশ। আটকে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে ফেরাতে তৎপর সিকিম প্রশাসন।

এইরকম অবস্থায় বাতিল করা হয়েছে পর্যটকদের পারমিট। সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর এবং পূর্ব সিকিমের জন্য নতুন করে কোনও পারমিট ইস্যু করা হচ্ছে না। একদিকে তুষারপাত, অপরদিকে বরফের পুরু আস্তরণে ঢাকা পড়েছে সিকিমের একাধিক পর্যটন স্থল। পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু, নাথুলা, বাবা মন্দির এলাকায় সম্পূর্ণ রূপে বরফে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। অসংখ্য পর্যটক সেখানে বেড়াতে গিয়ে বিপদের মুখে পড়েছেন। আবার এই ধসের জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পর্যটকদের মধ্যেও। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে নতুন করে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি এই এলাকায়। ভারী তুষারপাত এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হয়েছে সেনাকে। কিন্তু যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আজ সকাল দিয়েই চলছে উদ্ধার কাজ।

নাথুলা পাস সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩১০ মিটার উঁচুতে চিন সীমান্তে অবস্থিত। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যও বটে। তাই প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসেন এখানে। কিন্তু অতিরিক্ত তুষারপাতের কারণে বছরের অনেক সময়ই এখানে যাওয়ার পারমিট পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কাছে আমরা নিরুপায়। এখন প্রকৃতির রোষের কবলে সিকিম। ফলে পর্যটকরাও বিপদের মুখে পড়েছেন। মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল বেলা ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ জওহরলাল নেহরু রোডের ১৫ মাইলে তুষারঝড় নামে। যে রাস্তা গ্যাংটকের সঙ্গে নাথুলাকে যুক্ত করেছে। আর রাস্তাতেই আটকে পড়েন বহু পর্যটক।

এ ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার পর্যটকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অন্যদিকে, এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। সেই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন তিনি।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.