Mamata Banerjee: তৃণমূল সর্বভারতীয় দলই থাকবে, যা সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

কমিশনের সিদ্ধান্তের পরও অনড় মমতা

হাইলাইটস:

•গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বার্তা তাঁরা সর্বভারতীয় দল ছিল এর থাকবেও

•এমনকি সিঙ্গুরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতার অমিত শাহকে চারবার ফোন করার অভিযোগকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

•বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটতে পারে তৃণমূল, একথাও জানানো হল দলের তরফে

Mamata Banerjee’s Press Conference: সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে সর্বভারতীয় তকমা কেড়ে নেয়। তারপর থেকেই বিরোধীরা নিশানা করতে শুরু করে তৃণমূলকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সিঙ্গুরের সভা থেকে দাবি করেন, দলের জাতীয় তকমা ফিরে পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চারবার ফোন করেন। আর গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবিকে কার্যত উড়িয়ে করে দিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতার দিকে।

জাতীয় নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র তৃণমূলের না তার সঙ্গেই জাতীয় দলের তকমা বাতিল করেছে শরত পাওয়ারের এনসিপি এবং সিপিআই-এরও। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে জাতীয় দলের তকমা পেয়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বার্তা, তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাঁর অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে তৃণমূলের থেকে জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণও করেছেন তিনি।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বলেছেন, “আপনাদের হাতে নির্বাচন কমিশন আছে বলে যা খুশি তাই করবেন?” উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে জাতীয় দলের তকমা পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস, তা দশ বছর পর রিভিউ করার কথা ছিল৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তাঁদের জাতীয় দলের স্বীকৃতি কেউ দয়া করে দেয়নি, অনেক লড়াই করে জাতীয় দলের সম্মান তাঁরা অর্জন করেছিলেন। ফলে নির্বাচন কমিশনের বাতিলের পরেও মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, তাঁরা সর্বভারতীয় ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তার সাথেই বলেন, “আমাদের যা বিধায়ক, সাংসদ আছে, তার থেকে অনেক কম সংখ্যক সাংসদ-বিধায়ক নিয়েও অনেক দলের সর্বভারতীয় স্বীকৃতি রয়েছে। কিন্তু আমরা যেহেতু বিজেপি-র বিরোধিতা করছি, তাই আমাদের থেকেই তা কেড়ে নেওয়া হল৷”

অন্যদিকে সিঙ্গুরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, দলের সর্বভারতীয় তকমা অন্তত ২০২৪ পর্যন্ত বহাল রাখার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন বাংলার মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী সিঙ্গুরের সভা কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, “এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অমিত শাহকে গুন্ডা বলেছেন। ওদিকে তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছেন। বলছেন, ২০২৪ পর্যন্ত আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখা যাবে না? জবাবে অমিত শাহজী স্পষ্ট বলেছেন, আপনি তো ভোট পাননি। সেই নিয়মে আপনি আর সর্বভারতীয় নন।”

এরই জবাবে বিরোধী দলনেতার অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন এই দাবি সত্যি হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন৷ এই মর্মে তৃণমূল চিঠি দিয়েছে অমিত শাহ এবং শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁদের হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে শুভেন্দু মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটবে তারা।

মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, তৃণমূল সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এভাবে মিথ্যাচার বেশিদিন চলে না বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা করতেও ছাড়েননি তিনি। এমনকি বলেন, যিনি তাঁর নামে মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছেন সেটি যদি ভুল প্রমাণিত হয় তবে তাঁর নাকখৎ দেওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের পরই সোশাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে লেখেন, ‘ইয়ে ডর মুঝে অচ্ছা লগা’।

তাঁর সাথেই শুভেন্দু লেখেন আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জের জবাব দেবেন তিনি। ফলে তিনি আজ ঠিক কী বোমা ফাটাতে চলেছেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.