Mamata Banerjee at Nabanna: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, আবারও সাধারণ মানুষের অভিযোগের কথা শুনবেন তিনি

Mamata Banerjee at Nabanna: আজ নবান্নে বৈঠকের মাধ্যমে ঠিক হবে সম্পূর্ণ কর্মসূচি

হাইলাইটস:

• দিদিকে বলোর পর আবারও নতুন কর্মসূচি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার

• পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাধারণ মানুষের অভিযোগের কথা শুনবেন

• রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এটি তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক

Mamata Banerjee at Nabanna: পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে নতুন এক কর্মসূচি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মতোই এক্ষেত্রেও দেওয়া হতে পারে কোনও নির্দিষ্ট ফোন নম্বর৷ আজ নবান্ন সভাঘর থেকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের নিয়েও এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি, নতুন এক চমক দিয়েছিল রাজ্যবাসীকে৷ তৃণমূল সরকারের এই কর্মসূচি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল বাংলার মানুষের কাছে। একুশের বিধানসভা ভোটের পর পরই জনসংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আবার নতুন এক কর্মসূচি আনা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে৷ ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নাম দেয়া হয় সেই কর্মসূচির। এই মুহূর্তে সামনে পঞ্চায়েত ভোট দরজায় টোকা মারছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনও আছে তারপরে৷ আবারও চমক দিতে চলেছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খবর নবান্ন সূত্রে।

বাংলার মানুষের সমস্যা গুলি জানা ও তার দ্রুত সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার চালু করতে চলেছে নতুন এক কর্মসূচি। নাম রাখা হয়েছে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’৷ সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসনের মধ্যে জনসংযোগের চাবি কাঠি হতে চলেছে এই কর্মসূচি বলে সুত্রের খবর। নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে প্রশাসন সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা সম্ভব হয়েছে। সেই ধারণা থেকেই আজ নবান্ন সভাঘর থেকে এবার তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’নামের সরকারি কর্মসূচি ঘোষণা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

জানা গেছে এই কর্মসূচির ক্ষেত্রেও সরকারের পক্ষ থেকে ‘দিদিকে বলো’র মতো দেওয়া হবে কোনও নির্দিষ্ট ফোন নম্বর৷ জানা যাচ্ছে, আজ নবান্ন সভাঘর থেকে বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট মেজিস্ট্রেটদের সাথে এই কর্মসূচি নিয়ে বৈঠকে বসবেন এবং আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷

মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগেই মানুষের সমস্যার কথা শুনে সমাধান করতে তাঁর সচিবালয়ে একটি গ্রিভান্স সেল তৈরি করেছেন। এই সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন সচিব পদ মর্যাদার আধিকারিককে। সেই সেল-এর কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা হয় উপান্ন থেকে। গ্রিভ্যান্স সেলে ই-মেল করে অথবা চিঠি লিখে সাধারণ মানুষ নিজেদের অভিযোগের কথা জানাতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে জানান এবং যত তারাতাড়ি সম্ভব সেই সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আধিকারককে অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলে সমাধানের রিপোর্ট এবং সমাধান সূত্র পাঠাতে হয় মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে।

এধরনের অভিযোগের যথাযথ তদন্ত নিয়ে প্রশাসনের নিচুতলায় গড়িমসির অভিযোগ উঠেছিল কয়েকটি ক্ষেত্রে৷ সেই কথা জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ।

এই নতুন কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে আবার সেই গ্রিভ্যান্স সেলকেই। এই কর্মসূচিতে জনসাধারণ সরাসরি টেলিফোনের মাধ্যমে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এ জন্য ‘নবান্ন’র লাগোয়া ‘উপান্ন’-এ টেলি যোগাযোগের আধুনিক সরঞ্জাম, নির্দিষ্ট ফোন নম্বর ও পেশাদার কর্মী নিয়োগ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এবং অন্যান্য পরিকাঠামো ব্যবস্থার কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.