DA Show Cause: ডিএ ইস্যুতে ধর্মঘটের জেরে প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ করা হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

হাইলাইটস:

•ডিএ ইস্যুতে ধর্মঘটের জেরে প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা হলেন শোকজ

•প্রথমমে সংখ্যাটা ২৩ হাজার হলেও এখন বেড়ে দাঁড়ালো ২৯ হাজার

•ধর্মঘট সমর্থনকারীদের জন্য কড়া নবান্ন এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদ

কলকাতা: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে লাগাতার চলছে ডিএ আন্দোলন। তাদের একটাই দাবি, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বাড়াতে হবে রাজ্য সরকারকেও। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বাড়াতে নারাজ। রাজ্য বাজেট অধিবেশনে ৩% হারে ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচাৰ্য। কিন্তু ডিএ আন্দোলনকারীরা তাতেও খুশি না। তাদের দাবি কেন্দ্রীয় হারেই বাড়াতে হবে মহার্ঘ ভাতা। এর ফলে ডিএ আন্দোলনকারী এবং ডিএ বৃদ্ধি সমর্থনকারী সরকারী কর্মচারীরা মিলে গত ১০ই মার্চ সারা বাংলা সরকারী দফতরে ধর্মঘটের ডাক দেন। আর এই ধর্মঘটকারী প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ (DA Show Cause) করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

নবান্নের তরফে আগেই বলা হয়েছিল যারা ধর্মঘটে সামিল হবেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার ১০ই মার্চের ধর্মঘটের অনুপস্থিতির কারণে লাগাতার শোকজ চলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ইতিমধ্যে তাদের শোকজের নোটিশও চলে গেছে। সাত দিনের মধ্যে অনুপস্থিত থাকার উপযুক্ত কারণও দিতে বলা হয়েছে তাদের। গত ২৫শে মার্চ পর্যন্ত সেই সংখ্যা ছিল ২২৮৫৬ জন। এবার সেই সংখ্যা গিয়ে পৌঁছাল ২৯ হাজারের কাছাকাছি।

ধর্মঘটের কারণে অনুপস্থিতির জন্য এত সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকাকে শোকজ করার নজিরবিহীন ঘটনা রাজ্যবাসী আগে কোনওদিন দেখেননি, এমনই দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। পাশাপাশি পর্ষদ সূত্রের জানা গেছে, লাগাতার রাজ্য অর্থ দপ্তরের নির্দেশিকার উপর ভিত্তি করেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শোকজ করার প্রক্রিয়াটি চলছে। গতকাল পর্যন্তই শোকজের চিঠি শেষ ইস্যু করা হল বলেই জানিয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ।

শোকজের তালিকায় সবথেকে বেশি আছেন নদীয়া জেলা শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও শোকজ হওয়ার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংখ্যাটা প্রচুর। ডিএ ধর্মঘট সমর্থনকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের কার্যত মাসুল গুনতে হচ্ছে। তবে এরপর এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা এখনও জানানো হয়নি। রাজ্য অর্থ দপ্তরের নির্দেশিকা মোতাবেক যদি সেই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনুপস্থিতির যথাযথ কারণ দিতে না পারেন, তবে বিভাগীয় তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.