Barrackpore Shootout: সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি এবং শ্যুট আউটের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি ব্যারাকপুরে, গুলিতে মৃত মালিকের ছেলে এবং আহত আরও ২

হাইলাইটস:

• ভর সন্ধ্যেবেলায় ব্যারাকপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি

• তার সাথে চলল এলোপাথাড়ি গুলি

• দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ গেল মালিকের ছেলের

Barrackpore Shootout: বুধবার অর্থাৎ গতকাল সন্ধ্যাবেলায় ব্যারাকপুরের জনবহুল আনন্দপুরী এলাকার একটি সোনার দোকানে হানা দেয় এক দল দুষ্কৃতী। তারপর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দোকানে রাখা যাবতীয় গয়না হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা৷ ঠিক এইসময় দোকানে উপস্থিত মালিকের ছেলে বছর আঠাশের নীলাদ্রি সিংহ তা মেনে নিতে না পেরে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা পেয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা৷ পিছন দিক দিয়ে নীলাদ্রির ঘাড়ের কাছে গুলি করে এক দুষ্কৃতী৷ ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে তরতাজা ওই প্রাণটি।

গতকাল সন্ধ্যাবেলায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগণার ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন আনন্দপুরীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায়৷ এটি অত্যন্ত জনবহুল একটি এলাকা। সারাদিনই প্রায় মানুষ এবং যানবাহনের ভিড় থাকে রাস্তায়৷ সন্ধেবেলায় রীতিমতো গাড়ি এবং পথচলতি মানুষের চাপে যানজট সৃষ্টি হয় এলাকায়৷ এ রকম জায়গায় কীভাবে দুষ্কৃতীরা দোকানে ডাকাতি করতে আসার সাহস দেখাল, তা ভেবেই হতবাক এলাকাবাসী৷ গোটা ঘটনার আকস্মিকতায় এবং দুষ্কৃতীদের বেপরোয়া মনোভাবে রীতিমতো হতভম্ব এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা৷

সূত্রের খবর, সিংহ জুয়েলারি হাউস নামের দোকানটি ২০ বছরের পুরোনো একটি দোকান। দোকানের মালিক নীলরতন সিংহও দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়াও দোকানের এক নিরাপত্তারক্ষীর পায়েও গুলি লাগে৷ এর পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা৷ তাদের দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নীলরতনবাবুর ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন নীলাদ্রি৷ ব্যারাকপুরেই আদি বাসস্থান সিংহ পরিবারের৷ মাত্র ছয় মাস আগে ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছিলেন নীলাদ্রির। আজ ছিল তার প্রথম জামাইষষ্ঠী। তবে নিজেদের সোনার দোকানকে দুষ্কৃতীদের হাত বাঁচাতে মৃত্যুবরণ করলেন ওই আঠাশ বছর বয়সী তরতাজা যুবকটি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রথমে ক্রেতা সেজে দুজন ওই দোকানে ঢোকে। তারা প্রথমে গয়না দেখার ভান করে দোকানের মধ্যে ছিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও দুজন দোকানের মধ্যে ঢোকে। এরপরেই দুষ্কৃতীরা গয়না দিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। দোকানের তরফে বাধা দেওয়া হয়। এর পরেই একের পর এক গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়।ডাকাতি করতে ঢোকার সময় দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল বলেই দাবি করেছেন তারা।

তবে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টিটাগড় থানার পুলিশ। ঘটনার আগের এবং পরের দোকানের এবং এলাকার অন্যান্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাছে পুলিশ৷ তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘটনার সময় চারজন মানুষ দোকানে ছিলেন। দোকানের মালিক, মালিকের ছেলে আর দুই জন কর্মচারী দোকানের ভেতরে ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই মোট চার জন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে চেপে ওই সোনার দোকানে হানা দেয়৷ গুলি চালানোর ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দোকান এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে৷ ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুরের পুুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া৷ তিনি দাবি করেছেন, খুব শিগগিরই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হবে৷ এইদিকে যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে সেখানকার ব্যবসায়ী সংগঠন।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.