Amartya Sen: এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে জমি বিতর্কে ‘উচ্ছেদের’ নোটিস দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

আগামী ২৯শে মার্চ সশরীরে হাজিরার দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনকে

Amartya Sen: Now the Nobel Prize winning economist Amartya Sen has been given an ‘eviction’ notice by the Visva Bharati authorities in the land dispute.

হাইলাইটস:

•অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক বহুদিন ধরেই চলে আসছে

•বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে জমি বিতর্কে ‘উচ্ছেদের’ নোটিস পাঠিয়েছে

•যে জমি নিয়ে বিতর্ক সেই জমিরই এবার মিউটেশন হল

বোলপুর: শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি নিয়ে টানাপোড়েন চলেই আসছে বিগত কয়েকবছর ধরে।বিশ্বভারতী (Visva Bharati) সূত্রের দাবি, বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে ১২৫ ডেসিমেল জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। এই জমিতেই গড়ে উঠেছে অমর্ত্যবাবুদের পারিবারিক বাড়ি ‘প্রতীচী’। ২০০৬ সালে অমর্ত্য সেনের আবেদনের ভিত্তিতে জমির লিজ তার নামে হস্তান্তর করা হয়। বিশ্বভারতীর আরও দাবি, পাশাপাশি দু’টি লিজ দেওয়া জমির মধ্যবর্তী বিশ্বভারতীর নিজস্ব ১৩ ডেসিমেল জমিও ঢুকে রয়েছে ‘প্রতীচী’র সীমানার ভেতরে। সেই ১৩ ডেসিমেল নোটিস খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen)।

তবে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ যখন শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন তখনও তাঁর কাছ থেকে ১৩ ডেসিমেল জমি ফেরত চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই নোটিস ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। এবার নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৯শে মার্চ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে। জমি নিয়ে শুনানির দিন অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) সশরীরে বা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে থাকার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বভারতীয় সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স হলে হবে এই শুনানি।

সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। তখন বোলপুর সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শান্তিনিকেতনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জমির তথ্য ও দলিল সংরক্ষণ বিষয়ক দপ্তরে গিয়ে নথিপত্র জোগাড়ের ব্যবস্থা করে, তিনি জমির কাগজপত্র অমর্ত্য সেনের হাতে তুলে দেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। কারণ, এই জমি রাজ্য সরকারই বিশ্বভারতীকে দিয়েছে।

তবে এইরকম চাপানউতোর পরিস্থিতির মধ্যেই এবার অমর্ত্য সেনের জমির মিউটেশন করা হল বলে সূত্রের খবর। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অমর্ত্য সেনের নামে যে নোটিশ পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তার পরিণতি কী হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে গোটা বিষয়টি নজরে রাখছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বাবার নামে যে জমি ছিল সেটি মাননীয় অমর্ত্য সেনের নামে পরিবর্তন করা হয়েছে। এদিকে ২৯শে মার্চ সমস্ত নথি নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) চিঠি পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার শুধু দেখার বিষয় এই জমি বিতর্ক কোন দিকে মোড় নেয়।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.