শীতের দিনে প্রতিদিন ১টি করে ডিম এই ৫টি উপকার পাবেন

Benefits Of Eating Eggs

ডিমে থাকে ভিটামিন D, B6 এবং B12

সুপারফুডগুলির মধ্যে ডিম হল অন্যতম। শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি ভেতর থেকে উষ্ণ থাকাও খুব জরুরি। ডিম এই দুটি জিনিসকে নিশ্চিত করে। ডিমের মধ্যে অনেক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যার কারণে একে সুপারফুড বলা হয়। অনেক নিরামিষাশী মানুষ ডিম খান না। আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খান, তবে শীতকালে এটি আপনার জন্য ওষুধ হিসাবে কাজ করতে পারে।

ডিম জিঙ্কের ঘাটতিকে দূর করে: জিঙ্ক হল একটি খনিজ যার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ঠান্ডা বা ফ্লু-র মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। ডিমে রয়েছে জিঙ্ক। ফলে এই অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিম খাওয়া জরুরি।

ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাদ্য: ডিমে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে। এই বিষয়টি বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। একটি মাঝারি আকারের ডিমে ৬ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন থাকতে পারে। প্রোটিন শরীর দ্বারা অ্যান্টিবডি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় যা শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয়। এর পাশাপাশি ডিম খেলে মাংসপেশির দুর্বলতাও দূর হয়। এমন পরিস্থিতিতে শীতের দিনে অন্তত একটি করে ডিম খান।

ভিটামিন D: বিভিন্ন গবেষণাতে প্রমাণ হয়েছে যে, ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে শরীরে ভিটামিন D-এর ঘাটতি পূরণ হতে পারে। একটি ডিমে ৮.২ mcg ভিটামিন D থাকে, যা ১০ mcg দৈনিক ভিটামিন D গ্রহণের ৮২ শতাংশ।

ভিটামিন B6 এবং B12-এর মাত্রা বজায় থাকে: ডিম শরীরে ভিটামিন B6 এবং B12-এর মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস, ডিম ভিটামিন B6 এবং B12- এর একটি ভালো উৎস। ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায় না।

ডিম খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে: ডিম খাওয়া HDL কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এর ফলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল HDL -এর পরিমাণ কমে যায় এবং হার্ট অ্যাটাক-সহ মারাত্মক হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যায়।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.