এখানে বিয়ার পানের ৫টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে
লক্ষ্যনীয় বিষয় :
•বিয়ার হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।
•এটি আক্রমণের ঝুঁকি ২৫-৪০ শতাংশ কমাতে পারে।
•বিয়ার কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।
একটি গরম রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে, বিয়ারের চেয়ে শীতল আর কিছুই নেই। বিয়ার আজকের তরুণদের পছন্দের অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়গুলির মধ্যে একটি। অনেক মানুষ বিশ্বাস করে যে, বিয়ার তাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এটি আপনাকে স্বাস্থ্যকর চুল, মসৃণ ত্বক এবং আরও অনেক কিছু উপহার দিতে পারে।
যখন কোনো পার্টির কথা আসে, বিয়ার আপনাকে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যাবে এবং আপনাকে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে দেবে। এখানে বিয়ারের কিছু আশ্চর্যজনক সুবিধা রয়েছে।
আপনি কি জানেন বিয়ার পান করার অনেক উপকারিতা আছে, যেমন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়ানো?
বিয়ার হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় :
গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, বিয়ারে উচ্চ সিলিকন উপাদান রয়েছে যা আপনার হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং এর সাথেই পেশী ও হাড়ের টিস্যুকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।
সুতরাং, বিয়ার পান করা হাড়ের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
গবেষণা অনুসারে, বিয়ারে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম হয়। মূলত, এটি আক্রমণের ঝুঁকি ২৫-৪০ শতাংশ কমতে পারে।
সুতরাং, আপনি যদি আপনার হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখতে চান তবে বিয়ার পান করুন।
বিয়ার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় :
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিয়ার শরীরে স্বাস্থ্যকর এইচ ডি এল কোলেস্টেরলের অনুপাত বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখে। সুতরাং বলা যায় যে, দিনে অন্তত দু পেগ বিয়ার পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুটা কমে যায়।
বিয়ার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায় :
প্রতিদিন এক পেগ বিয়ার পান করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। আমেরিকান গবেষকরা দেখেছেন যে, যারা প্রতিদিন ১-৪ ১০ আউন্স বিয়ার পান করেন তাদের রোগের ঝুঁকি কমে গেছে।
বিয়ার ত্বককে আরও সুন্দর করে তোলে :
বিয়ারে যে নির্দিষ্ট ভিটামিন রয়েছে যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে এবং পিগমেন্টেশনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি আপনার ত্বক পরিষ্কার এবং চকচকে করে তোলে।
শেষে বলা যায় যে, ত্বকের জন্য দু পেগ বিয়ার, হাড়ের জন্য দু পেগ, আপনার প্রিয়তমার জন্য দু পেগ ইত্যাদি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে। তবে মনে রাখবেন, এটি অতিরিক্ত পান করবেন না।
বিয়ারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে :
বিয়ারে থাকা ভিটামিনের উপকারিতা পেতে আপনার প্রতিদিন বিয়ার পান করা উচিত। বিয়ারে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায় যা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিয়ারে সব ধরনের ভিটামিন বি পাওয়া যায়। এতে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, যা আপনার স্ট্যামিনা না হারিয়ে আপনার দৈনন্দিন কাজ করার জন্য আপনাকে অনেক শক্তি দেয়। বিয়ার পানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
বিয়ার পান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কিন্তু আপনি জানেন যে, সবকিছুর আধিক্য ভয়ঙ্কর প্রমাণিত হতে পারে।
সঠিকভাবে বিয়ার পান করা এবং ভারসাম্য রেখে খাওয়া আপনাকে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে সাহায্য করতে পারে। অনেক গবেষক দেখেছেন যে, যারা বিয়ার পান করেন তাদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন যারা এটি পান করেন না। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, নিয়মিত বিয়ার খেলে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা চার শতাংশ বেড়ে যায়। সুষম পরিমাণে বিয়ার খাওয়া শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
বিয়ার পান করা বা না পান করা সেটি আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।
