জীবনধারা

স্নায়ুর যেকোনও রোগের সমাধান করবে এই ৫টি খাবার, বলেন পুষ্টিবিদদের একাংশ

ব্যথা এবং অসাড়ভাব কমবে চোখের নিমেষে

এখনকার দিনে স্নায়ুর রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগের মুক্তি শুধুমাত্র ওষুধে সম্ভব নয়। তার জন্য আপনাকে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার মানকে উন্নত করতে হবে। আমাদের শরীরে স্নায়ু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। মস্তিষ্ক থেকে নানা সংকেত দেহের সর্বত্র পৌঁছে যায় এই স্নায়ুর মাধ্যমেই। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও নানা সংকেত নিয়ে মাথায় পৌঁছে দেয় এই বাহিকা। এরা অনেকটা বিদ্যুতের তারের মতো কাজ করে যার মাধ্যমে সংকেত পৌঁছে যায়। পা, কোমড়, ঘাড়ে ব্যথার প্রধান কারণ হচ্ছে স্নায়ু। স্নায়ু সুস্থ থাকলে বহু সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার যুক্ত করতে হবে যা স্নায়ুর জটিলতা দূর করতে সক্ষম। একনজরে দেখে নিন খাবারগুলি –

১. সবুজ শাক-সবজি এবং ফল:

সবুজ শাক রক্তনালীর জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করে আপনি স্নায়ুর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারেন। বায়োফ্ল্যাভোনয়েড হল ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায়, যা রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে। এর পাশাপাশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা স্নায়ুকে শক্তিশালী করে। আবার সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই দুই উপাদান স্নায়ুর কাজ করার জন্য প্রয়োজন। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্নায়ু বা নার্ভের প্রদাহ কমায়। ফলে স্নায়ুর অসাড়ভাব অনায়াসে কেটে যায়। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তাজা শাক-সবজি এবং ফল যোগ করুন।

২. সোয়াবিন এবং পালং শাক:

আমাদের প্রত্যেকের শরীরে ভিটামিন B2 প্রয়োজন। কারণ এই ভিটামিনটি স্নায়ুকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। সোয়াবিন এবং পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B2 থাকে। এছাড়া এই খাবারগুলিতে রয়েছে প্রোটিন। এই প্রোটিন কিন্তু পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সোয়াবিন এবং পালং শাক যোগ করতে ভুলবেন না।

৩. লাল লঙ্কা এবং হলুদের ব্যবহার:

মশলা আপনাকে স্নায়ু শক্তিশালী করতেও সাহায্য করতে পারে। হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ধমনী শক্ত হওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, লাল লঙ্কা রক্ত ​​সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করে এবং আপনার রক্ত ​​প্রবাহ ও সুস্থ সঞ্চালন বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় এই দুটি উপাদান যোগ করুন।

৪. মুরগির মাংস:

আজকাল দিনে মুরগির মাংস খেতে আমরা প্রত্যেকেই ভালোবাসি। রবিবারের দুপুরের ভুরিভোজে যেন মাংস ছাড়া চলে না। গরম ভাত আর মুরগির মাংসের ঝোল আহা যেন স্বর্গসুখ! এই মুরগির মাংসে রয়েছে ভিটামিন B6। এই ভিটামিনটি ভিটামিন B12-কে শরীরে গ্রহণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই খাবারটিতে রয়েছে প্রোটিনের প্রাচুর্য। তাই স্নায়ুর জন্য ভালো মুরগির মাংস। আবার পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান যদি আপনার খাদ্যতালিকায় মুরগির মাংস যোগ করুন।

৫. কড়াইশুঁটি এবং বিনস:

ভিটামিন B1 স্নায়ুকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন হয়। কড়াইশুঁটি এবং বিনস-এ এই ভিটামিন ভরে থাকে। আবার এই ভিটামিনটি দেহে ভিটামিন B6-গ্রহণে সাহায্য করে। ফলে স্নায়ু নিজের কাজ অনবরত করে যেতে পারে। কারণ এতে রয়েছে অ্যন্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা এমনকী ব্যথা, অসাড়ভাবও দূর হয়। তাই আপনাকে আপনার খাদ্যতালিকা নিয়মিত এই দুই সবজি রাখতেই হবে।

Sanjana Chakraborty

My name is Sanjana Chakraborty. I'm a content writer. Writing is my passion. I studied literature, so I love writing.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button