নারকেল তেলের সাথে অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ আপনার চুলকে প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্যকর করে

এটি চুল পড়া রোধ এবং নতুন চুল গজানোর একটি সেরা মিশ্রণ

কলকাতা শহরের দূষণ আপনার চুলকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও শুষ্ক করে দিতে পারে। আপনি যদি কলকাতার আসে পাশে থাকেন তবে চুলের সমস্যা অনিবার্য। দূষণের মাত্রা সত্যিই আপনার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, এটি আপনার চুল এবং ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত মহিলাদের জন্য, চুল একটি মূল্যবান অংশ, আমরা সবাই স্বাস্থ্যকর এবং বাউন্সি চুল চাই। আমি যদি আমরা কথা বলি তবে বলা যায়, আমার চুল ভীষণই পাতলা হওয়ার দরুন চুল পড়া রোধ করার জন্য অনেক সময় বিভিন্ন তেল ও শ্যাম্পু ব্যবহার করেছি। সত্যি বলতে তাদের মধ্যে কেউই সঠিক কাজ করেনি। তাই আমি একটি প্রাকৃতিক মিশ্রণ বানিয়েছি বাড়িতেই। নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ কীভাবে আমার চুলকে প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্যকর করে তুলেছে সেই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এখানে।

এটি হল আমার মায়ের একটি গোপন মন্ত্র। আপনার যখন পাতলা চুল থাকে, তখন বিভিন্ন হেয়ারস্টাইল চেষ্টা করা বেশ কঠিন হয়। আমার মা আমাকে এক মাসের জন্য এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে এবং ফলাফলগুলি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছিলেন। আমি মায়ের নির্দেশ অনুসারে কাজটি সম্পূর্ণ করেছি এবং ফলাফল আমাকে যথেষ্ট অবাক করেছে। আমি একই সঙ্গে আমার চুল এবং ত্বকে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করেছি। দীপাবলির পরে, আমি আমার মুখে একপ্রকার জ্বালা অনুভব করি ফলে এক সপ্তাহের জন্য মিশ্রণটি মুখে লাগিয়েছিলাম। এটি আমার ত্বককে কোমল এবং নরম করে তোলে।

কীভাবে মিশ্রণটি প্রস্তুত করবেন?

আপনার যে উপকরণগুলি দরকার তা হল –

•একটি ভর্তি নারকেল তেলের বোতল এবং অ্যালোভেরার তাজা পাতা (আপনার গাছ থেকে) খোসা ছাড়িয়ে সমস্ত জেল বের করে নিন।

•তারপর অল্প আঁচে এগুলিকে একটি কড়াইয়ে রাখুন।

•১৫ মিনিটের জন্য নাড়ুন যাতে এটি সঠিকভাবে মিশ্রিত হয়।

•এরপর নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।

•এখন আপনি এটি একটি বায়ুরোধী পাত্রে রাখতে পারেন এবং এটি ব্যবহারের জন্য একদম প্রস্তুত হয়ে গেছে।

এটি ব্যবহার করার সহজ উপায়:

আপনার যদি মাথার ত্বকটি তৈলাক্ত হয়, তবে আপনি আপনার মাথা ধোয়ার ২-৩ ঘন্টা আগে নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ সহ তেলও লাগাতে পারেন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করে এর ফল দেখুন।

ভালো ফলাফলের জন্য সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

যেহেতু এখন শীতকাল তাই আপনি এটি আপনার শরীর এবং মুখেও লাগাতে পারেন। এই মিশ্রণের দুই ফোঁটা নিয়ে মুখে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে কুসুম কুসুম গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ন্যূনতম ৩০ দিনের জন্য এই মিশ্রণ সহ তেল ব্যবহার করুন এবং আপনি আপনার পছন্দসই ফলাফলের সাক্ষী হতে পারবেন। ত্বক সম্পর্কে বিশেষভাবে কথা বলতে গিয়ে, সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। মূলত শুষ্ক ত্বকের জন্য জেল-ভিত্তিক ক্লিনজার ব্যবহার করুন এবং তৈলাক্ত ত্বকের লোকেরা দুধ-ভিত্তিক ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.