আপনার স্ত্রীর চিন্তা-ভাবনা কী ভীষণ নেতিবাচক? তার এইরকম মানসিকতার পরিবর্তনের ৫টি সহজ কৌশল জেনে নিন

নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা বৈবাহিক সম্পর্ক খারাপ করতে পারে

হাইলাইটস:

• বিবাহিত জীবনে নেতিবাচকতা সম্পর্কটি খারাপের একটি লক্ষণ

• স্ত্রীর নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তননের জন্য আপনাকে তার পাশে থাকতে হবে

• পরিস্থিতি খারাপ পর্যায় চলে গেলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি

প্ৰতিটি বৈবাহিক সম্পর্কেই উত্থান-পতন থাকে। কারণ সুখ-দুঃখ নিয়েই আমাদের জীবন। তেমনই আমাদের চারপাশে ইতিবাচক(পসিটিভ) চিন্তা বা বিষয়ের থেকে নেতিবাচক (নেগেটিভ) বিষয়গুলি অনেক বেশী প্রকট। যে কারণে প্রতিটি স্তরে আমরা এই ধরণের চিন্তা দ্বারা তাড়িত হই যা আমাদেরকে একটি স্বাভাবিক ইতিবাচক জীবন পার করা থেকে দূরে ঠেলে দেয়। যার কারণে আমরা আমাদের জীবনের দাঁড়িপাল্লায় ইতিবাচক বিষয়ের থেকে নেতিবাচক বিষয়গুলির ভারে নুয়ে পড়ি। তাই নেতিবাচক চিন্তা, মানুষ এবং ঘটনা থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত। আর যদি জীবনসঙ্গীই হয় একজন নেতিবাচক মানুষ তাহলে তার মোকাবিলা করা খুব কঠিন হতে পারে।

বিবাহিত জীবনে নেতিবাচকতা নিন্দাবাদ, সমালোচনা, কান্নাকাটি, আক্রমণ, হতাশাবাদ, অসন্তোষ, পরিপূর্ণতাবাদ এবং অতি-তীব্রতার আকারে আসতে পারে। এই আচরণ এবং মনোভাবের সাথে মোকাবিলা করা একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ। সামান্য নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা মাথায় থাকা ভালো। তবে সেই চিন্তা যদি স্ত্রীকে গ্রাস করে ফেলে, তবে বৈবাহিক জীবনে সমস্যার শেষ থাকবে না। তাই নেতিবাচক জীবনসঙ্গীনীর সাথে মোকাবিলা করার কিছু কৌশল আজ আমরা আপনাকে জানাবো এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে। দেখে নিন সেগুলি –

১. ইতিবাচক কথা বলুন​:

আপনার স্ত্রীর মাথাতে যতই নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা আসুক না কেন আপনাকে সর্বদা ইতিবাচক থাকতে হবে।

কারণ একমাত্র আপনিই পারেন তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা প্রবেশ করাতে। তার এই ধরণের নেতিবাচক কথাবার্তার তীব্র বিরোধিতা করুন। তাকে ভালো করে বোঝান আসলে কোথায় সে ভুল করছেন। এইভাবে বার বার বলতে বলতে কিছুদিন তার মধ্যে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

২. সমস্যার মূলে যান:

যে কোনও মানুষই কোনও কারণ ছাড়া নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করেন না। অতীতে এমন কিছু ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন তিনি, যার থেকে তার মধ্যে নেতিবাচকতার উদ্ভব হয়েছে। হয়তো সেই কারণেই এত নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা তার মাথায় বাসা বেঁধেছে। আপনাকে এই সমস্যা মূলে যেতে হবে। জানান চেষ্টা করতে হবে আসলে কেন সে এইরকম চিন্তা-ভাবনা করেন। আপনি যদি আসল কারণ জানতে পারেন তবে তাকে বোঝানো আরও সহজ হয়ে যাবে।

৩. ঠান্ডা মাথায় এই বিষয়ে কথা বলুন:

ঠান্ডা মাথায় কথা বলা অনেক জটিল বিষয়েরও সমাধান করে দেয়। আপনিও আপনার স্ত্রীর সাথে ঠান্ডা মাথায় এই বিষয়ে কথা বলুন। এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা যে জীবনে চলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে সেটি তাকে ভালো করে বোঝান। সে যে এইরকম চিন্তা-ভাবনা করে জীবনে বিপদ ডেকে আনছে সেটিও তাকে পরিষ্কার করে বলুন। তার এই মানসিক অবস্থায় এতাকে কা ছেড়ে দেবেন না। কারণ দিনে দিনে তার মধ্যে এই নেতিবাচকতা বাড়তেই থাকবে। আপনাকেই তার পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে হবে। তাই এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন স্ত্রীর সঙ্গে।

৪. আত্মবিশ্বাসের অভাব:

এইরকম অনেক মানুষ আছেন যাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকলে কোনও নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। কিন্তু যদি আত্মবিশ্বাসের খামতি থাকে তখন মাথায় আসে অনেক রকম নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা। তবে কিছু মানুষ অহেতুক আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগতে থাকেন। এইরকম আত্মবিশ্বাসের অভাব ভুকতে থাকা মহিলারাই নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করেন। তাই আপনাকে আগেভাগেই দেখে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে কিনা। আর যদি অভাব থাকে তাহলে তা বাড়ানো দায়িত্ব আপনার।

৫. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন:

পরিস্থিতি যদি জটিল হতে শুরু করে তবে সময় নষ্ট না দেয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কারণ পরিস্থিতি নাহলে হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলাটাই হল বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যদি নেতিবাচক কথাবার্তা স্ত্রী নিয়মিত বলতে থাকে তবে সত্যিই পরিস্থিতি জটিল পর্যায় চলে গেছে। তাই তার সঠিক কাউন্সিলিং-এর প্রয়োজন।

এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.