আপনার স্বামী কী আগে-পিছু না ভেবেই অহেতুক মিথ্যা কথা বলেন আপনাকে? আমাদের দেওয়া ৫টি টিপসকে কাজে লাগিয়ে সম্পর্কটি বাঁচান

একটি মিথ্যে আপনার সুন্দর সম্পর্ককে খারাপ করে দেয়

হাইলাইটস:

•অহেতুক মিথ্যে বলা অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস

•মিথ্যে বলার সঠিক কারণ

•বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কাজে লাগানো উচিত

ভালো-খারাপ দুই মিলেই একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়। হ্যাঁ একটি কথা সত্যি যে, সবসময় সত্যি কথা বললে চলে না। নিজের এবং পরিবারের স্বার্থে মিথ্যে বলা কোনও পাপ কাজ নয়। কারণ অত্যন্ত প্রয়োজনেই মানুষ মিথ্যে বলেন। কিন্তু একটি মিথ্যে আপনার বৈবাহিক সম্পর্ককে খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে, যখন আপনার স্বামী বেমালুম মিথ্যে কথা বলেন। হামেশাই মিথ্যে বললে মুশকিল। এটি অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু কিছু ব্যক্তি অহেতুক মিথ্যে কথা বলতে থাকেন। তারা মিথ্যে বলতে ভালোবাসেন। তারা যেন মিথ্যে বলেই চরম সুখ পায়। তাদের ঠোঁটের কোণে মিথ্যা কথা লেগে থাকে। ছোটখাট বিষয়েও তারা মিথ্যেরই আশ্রয় নেন।

এইরকম মানসিকতার পুরুষের সাথে সংসার ধর্ম পালন করা সম্ভব না। যদি বিয়ের আগে এইরকম অভ্যাস থাকে তার তবে ভেবে দেখতে পারেন সম্পর্কti নিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর নিয়মিত মিথ্যে সহ্য করতে করতে একসময় আপনার মনেও বিদ্রোহ জেগে ওঠতে পারে। তাই আজ আমরা আপনাকে সাহায্য করার জন্য ৫টি মূল্যবান টিপস আলোচনা করেছি। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আপনি নিয়ন্ত্রণ করবেন –

১. তার মিথ্যে বলার আসল ধরণ:

সব মানুষই আলাদা। তাই প্রত্যেক ব্যক্তির মিথ্যে বলার ধরনও আলাদা। এইরকম মানসিকতার পুরুষের মিথ্যে বলার বিশেষ কিছু কৌশল আছে। আপনি যদি তার অঙ্গভঙ্গির দিকে একটু নজর দেন তবে বুঝতে পারবেন পুরো বিষয়টি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কিছু জন চোখ নামিয়ে মিথ্যে বলেন, আবার অনেক মিথ্যে বলার সময় তোতলান, কারও হাত-পা বেশি চলে। এইগুলি হল এক একজনের মিথ্যে বলার ধরণ। আপনার স্বামীর মধ্যেও যদি এইরকম কিছু অঙ্গভঙ্গি দেখতে পান তবে এক নিমেষে স্বামীর মিথ্যে ধরে ফেলতে পারবেন।

২. সরাসরি কথা বলুন:

অনেক সময় দেখা যায় যে, ঠান্ডা মাথায় বসে আলোচনা অনেক ভাঙা সম্পর্কেও নতুন করে জোড়া লাগায়। তাই ঠান্ডা মাথায় বসে আলোচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনারা কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে আছেন তখন কোনও সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তার এই অযথা মিথ্যে বলার অভ্যাস বদল করার জন্য তাকে বাধ্য করুন। চেষ্টা করুন স্বামীকে সমস্যার কথা ঠিক করে বোঝানোর। এইভাবে চলতে চলতে সম্পর্কটি যে পতনের দিকে চলে যাচ্ছে এটি তাকে পরিষ্কার ভাষায় বলুন। আশা করি এতে কিছুটা কাজ হবে।

৩. সমস্যাটির গোড়ায় যান:

প্রথমেই বলি, সাধারণ কিছু মিথ্যে অবহেলা করা যায়। নিরীহ বিষয় নিয়ে বেশি জলঘোলা করে লাভ নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে পুরুষ জটিল বিষয়ও মনে লুকিয়ে রাখেন। কারণ বিষয়টি হয়তো স্ত্রীর সাথে শেয়ার করার মতো না। ধরুন, হয়তো তিনি কোনও এক মহিলার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। তারপর সেই সত্য লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন মিথ্যের মাধ্যমে। এই সময় একের পর এক ভুল কথা তিনি বলে যেতে পারেন। কারণ এই কথাটি আপনাকে সে নিজে মুখে বলতেও পারবেন না। এইরকম কোনও ঘটনা সম্পর্ককে পুরোপুরি ভাবেই নষ্ট করে দেয়। তাই পুরো বিষয়টির গভীরে আপনাকেই যেতে হবে। আসল সমস্যাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।

৪. চুপ থাকবেন না:

আপনি তার অযথা মিথ্যে মেনে নিতে থাকলে এক সময় সাহস কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। বরং মুখ খুলুন। কারণ আপনার এই নীরবতার সুযোগকেই সে বার বার কাজে লাগবে। তার মিথ্যে ধরতে পেলেই একদম মুখের উপর বলুন। সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে একদম চুপ থাকবেন না, প্রতিবাদ করুন। আপনার এতদিন চুপ থাকাটাই তার হাতিয়ার ছিল। দরকার পড়লে পরিবারকে পুরো বিষয়টি জানান। তারাও আপনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেন।

৫. মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন:

অহেতুক মিথ্যে বলা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক। কারণ কোনও সুস্থ ব্যক্তি এইরকম কাজ করতে পারেন না। অযথা মিথ্যে বলাটা মানসিক সমস্যার পর্যায়ে পৌঁছে যায় অনেকের। তারা নির্দিষ্ট কিছু কারণে এই কাজটা করতে থাকেন। অনেক সময় নিজেকে কোনও গোপন কাজ থেকে বাঁচাতে অথবা কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বেমালুম মিথ্যে বলেন। তাই উপরের সব পথ অনুসরণ করার পরও সমস্যা না কমলে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনিই আপনাকে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার সঠিক পথ দেখাবেন।

এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.